শিলং, ৩০ জুলাই: “পশ্চিমবঙ্গে থেকে ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন কেন?” ফের বিতর্কিত টুইট করে বিতর্কে জড়ালেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়।তাঁর টুইট বিতর্কের নিশানায় এবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার টুইট প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। একজন রাজ্যপাল কী করে এমন অবিবেচকের মতো কথা বলেন, তানিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই টুইটকে রাজনৈতিক মন্তব্য আখ্যা দিয়ে প্রসঙ্গে এড়িয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। এমনিতেই নিত্য নতুন প্রসঙ্গ টেনে বিতর্কে জড়াতে ভালবাসেন তথাগত রায়। তাঁর এই খেলায় এখন ইস্টবেঙ্গলকে টেনেছেন।
তথাগত রায়ের টুইটে খবর পেয়েই প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এটা একেবারেই রাজনৈতিক মন্তব্য। আমি এর প্রতিক্রিয়া দেব না।” কিছুদিন আগেই স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু লিকেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বাঙালরা যে সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠেনি তার কারণ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সেই ইস্টবেঙ্গলকেই কি না খোঁচ মারলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “তথাগতবাবু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তৈরির ইতিহাস জানেন না। আবেগ জানেন না। বলতে হয় বলে দিয়েছেন। তবে জেনে রাখুন, যতদিন ভারতবর্ষের ফুটবল থাকবে, ততদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব থাকবে। লাল-হলুদ রঙ থাকবে।”
ভাষার সমস্যা হতেই পারে-বিদেশী ভাষা তো ! যদি আমি পাঁচ মিনিটের জন্য ঠান্ডা মাথায় ভাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গলে থেকে কেন আমি ইস্টবেঙ্গল সমর্থক,তাহলেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে-আমার বাড়ি ছিল পূর্ববাংলায়,সেখানে আমার যাবার অধিকার নেই | আমার বক্তব্য, এই কথাটা যেন আমরা বাঙালরা কখনো ভুলে না যাই |
— Tathagata Roy (@tathagata2) July 30, 2019
১৯২০ সালে জোড়াবাগান ক্লাব ভেঙে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্ম। তখন অবিভক্ত দেশ হলেও ওপার বাংলার লোক হওয়ার কারণে বেশকিছু ফুটবলারকে গঞ্জনা সইতে হচ্ছিল। কার্যত জোড়াবাগানের তৎকালীন কর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেই নতুন ক্লাবের জন্ম দেন সুরেশ চৌধুরী, মন্মথনাথ রায়রা। ঠিক হয় ক্লাবের নাম হবে ইস্টবেঙ্গল। তারপর দেশ ভাগের পর ছিন্নমূল বাঙালির আশ্রয় হয়ে ওঠে এই ক্লাব। আজ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব হল বাঙালির ভালবাসা। শুধু ওপার বাংলা নয় এপারের বাঙালিরাও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক। তথাগত রায়ের মন্তব্য রাষ্ট্র হতেই জনমত নির্বিশেষে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।