বর্ষা আসলেই ফুলে ফেঁপে ওঠে শিলাবতী, রূপনারায়ণের মতো নদীগুলি। যার জেরে প্রতিবছরই ঘাটাল (Ghatal), দাসপুরের মতো এলাকায় বন্যা হয়। এই বন্যা পরিস্থিতি রুখতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে এসেছে এলাকাবাসীরা। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাস্তব রূপ পেতে চলেছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। শুক্রবার রাজ্যের জল সম্পদ ও উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া। অনেকদিন আগে থেকেই পাঁচটি স্লুইলিসগেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। আজ সেই কাজ কতটা এগোলো তা খতিয়ে দেখতেই পরিদর্শনে যান মন্ত্রী।

এলাকা পরিদর্শনে মানস ভুঁইয়া

ঘাটাল ও দাসপুরে শিলাবতী, রূপনারায়ণ নদীর ওপর তৈরি হচ্ছে পাঁচটি স্লুইলিসগেট। বর্ষার আগে যেন এই কাজ শেষ হয় তা সেচ দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন রাজ্যের মন্ত্রী। সেই সঙ্গে তাঁদের কাজের গতি বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন সফরে মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে ছিলেন সেচ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি মনীষ জৈন, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরী সহ একাধিক আধিকারিক।

রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণার পরই গতি বেড়েছে কাজের। এর আগে একাধিকবার ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এই মাস্টারপ্ল্যানের জন্য দাবি করে এসেছিলেন। তবে কেন্দ্র সরকার এই নিয়ে গড়িমসি দেখাচ্ছিল। অবশেষে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়েছে।