Photo Source: ANI/Twitter

কলকাতা, ১৫ জানুয়ারি: DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার (Maidul Islam Middya)মৃত্যুর প্রেক্ষিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাম এবং কংগ্রেস নেতা, সমর্থকেরা। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মইদুল ইসলাম মিদ্দারের প্রসঙ্গে দু:খপ্রকাশ করেন। শুধু দু:খপ্রকাশ করাই নয়। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য কিংবা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। আরও পড়ুন: DYFI Protester Dies: 'ক্ষমতা দেখিয়ে খুন করেছে', DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুতে তীব্র প্রতিক্রিয়া বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর 

সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, "যেকোনও মৃত্যুই ভীষণ দু:খজনক। কীভাবে মইদুলের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই সেটি স্পষ্ট হবে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে।" মইদুলের মৃত্যুর খবর পেতেই সুজন চক্রবর্তীকে এদিন সকালে ফোন করেন মমতা ব্যানার্জি। রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক ক্ষতিপূরণের আশ্বাস কিংবা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

তবে মইদুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তিনদিন আগে মইদুল হাসপাতালে ভর্তি হলেও সেকথা পরিবারের কোনও ব্যক্তি কেন জানতেন না। সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, আদৌ কী সেদিনের আন্দোলনে মইদুল ছিলেন, সেটিও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

মইদুল বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা। পেশায় অটোচালক মইদুলের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। বামেদের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন ডোরিনা ক্রসিংয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে মারাত্মক জখম হন ওই DYFI কর্মী। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লাঠির আঘাতে পেশী ফেটে যাওয়াতেই বিপত্তি। সমস্ত প্রোটিন এসে কিডনি ব্লক করে দেয়। ১৩ তারিখে কিডনি ফেলিওর হয়। এরপর ফুসফুসে জল জমতে শুরু করে। ১৪ তারিখ রাতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ১৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন মইদুল।