রবিবার সাত সকালে মালদার মানিকচকে বোমাবাজি। বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এলাকার কংগ্রেস নেতার। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল মানিকচক জুড়ে। মৃতদেহ ঘিরে শুরু হয় স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ। প্রাক্তন সাংসদ আবু হোসেন খান চৌধুরী মৃতদেহের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় ৬ ঘণ্টা চলে উত্তেজিত জনতার আন্দোলন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করার আশ্বাস নিয়ে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কংগ্রেস নেতার নাম মহম্মদ সইফুদ্দিন। রবিবার সকালে মানিকচল চৌকি ধরমপুর বাজার এলাকায় সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য় করেই বোমা ছোঁড়া হয়। এলাকার প্রাক্তন প্রধান ছিলেন সইফুদ্দিন। দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত তিনি। কারা এই হামলা চালালো, এর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে মানিকচক থানার পুলিশ।
রবিবার স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকে বাজার এলাকা জনবহুল। ছুটির দিনে ব্যস্ত সকালে বাজারের মধ্যে আচমকাই বোমাবাজি। আতঙ্কে মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যায় গোটা এলাকা। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তবে ততক্ষণে কংগ্রেস নেতা মহম্মদ সুইফুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যে।
মৃত কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে সইফুদ্দিনের পরিবার। তবে কীসের শত্রুতা তা স্পষ্ট করেনি পরিবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, মানিকচকের ওই এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত। গত পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে খুন হয়েছিলেন এক তৃণমূল নেতা। সেই খুনের অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার কংগ্রেস নেতা খুন হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আঙুল শাসক শিবিরের দিকে।