মালদা সফরে গিয়ে আদিনা মসজিদের সামনে ছবি তুলে এবার বিতর্ক ছড়ালেন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)। এই আদিনা মসজিদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একটি বিতর্ক রয়েছে। অনেকের দাবি, এখানে একসময় আদিনাথ মন্দির ছিল, সেটা সুলতান সিকন্দর শাহের শাসনকালে ভেঙে এই মসজিদ বানানো হয়েছে। এমনকী এখনও মসজিদের গায়ে হিন্দু দেবদেবীর ভাস্কর্য বিদ্যমান রয়েছে। ফলে বাবরির মতোই এই মসজিদ নিয়েও বিতর্ক দীর্ঘদিনের। সেখানে দাড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ আদিনা মসজিদ বলে দাবি করছেন ইউসুফ। যা সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর

এই নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, “মুর্শিদাবাদে যখন সাম্প্রদায়িক অশান্তি হচ্ছিল সেই সময় এই সাংসদ কোথায় ছিলেন। উনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য ভুলভাল মন্তব্য করছেন। ইউসুফ পাঠান না বাংলা বলতে পারেন, না বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে কোনও ধারনা আছে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে যাতে সংখ্যালঘু ভোট আইএসএফ বা এআইএমআইএমের মধ্যে ভাগাভাগি না হয়ে যায়, সেই কারণেই এই ধরনের পোস্ট করছে”।

দেখুন শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য

মালদা সফরে ইউসুফ পাঠান

দিনদুয়েক আগে মালদা সফরে গিয়ে এই মসজিদের সামনে বেশকিছু ছবি তোলেন সাংসদ ইউসুফ পাঠান। ছবিগুলি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “১৪ শতকে ইলিয়াস শাহী রাজবংশের দ্বিতীয় শাসক সুলতান সিকান্দার শাহ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশের এই বৃহত্তম মসজিদ। ১৩৭৩-১৩৭৫ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল এই মসজিদ”। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদরা দীর্ঘদিন পরীক্ষা চালানোর পর পাল ও সেন যুগের একাধিক মন্দির উপকরণ সংগ্রহ করেছে। যেখানে শিবলিঙ্গ ও গনেশের ভাস্কর্য রয়েছে। তারপর থেকেই প্রত্নতত্ত্ব দফতরের অধীনে রয়েছে এই মসজিদ এবং এখানে ধর্মীয় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ।