৭ মে, ২০১৯: অর্জুন সিং (Arjun Sing)এখন শাসক দলের মাথা ব্যাথার বড় কারণ। বিজেপিতে যোগদানের পর যে বিপুল সংখ্যক অনুগামীর দেখা মিলেছে অর্জুন সিংয়ের তাতে বিশেষ চিন্তিত শাসক দল। এগজিট পোলে অনেকেই এগিয়ে রেখেছেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে।
তৃণমূলে থাকাকালীনও মুকুল ঘনিষ্ঠ(Mukul Roy) ছিলেন এই নেতা। সেকারণে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই জল্পনা সত্যি হয়। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন সিং। তারপর থেকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রটি নিয়ে বেশ চিন্তত রয়েছে শাসক দল। করণ ভাটপাড়া পুরসভার (Bhatpara)চেয়ারম্যান হিসেবে অর্জুন সিংয়ের অনুগামীর সংখ্যা বেশ ভাল। কারণ বাম জমানা থেকেই তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন অর্জুন সিং। তাঁকে হাতিয়ার করেই সিপিএমের দাপুটে নেতা তড়িৎ তোপদারের এলাকায় সিঁধ কেটেছিল তৃণমূল। সেই হাতিয়ার যে বুমেরাং হয়ে ফিরবে তা বোধ হয় আঁচ করতে পারেনি তাঁরা। রবিবার গয়েশপুরের সভা থেকে তাই দলনেত্রী প্রকাশ্যেই অর্জুনকে গদ্দার বলে আক্রমণ করেছেন। সেই সঙ্গে মুকুল অনুগামীদের প্রচ্ছন্নে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, দলে গদ্দারদের কোনও জায়গা নেই।
বরাবরই অর্জুনের রাজনৈতিক দাপট একটু বেশি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও সেই দাপট যে আরও বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সে তুলনায় তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ দিবেদী জনপ্রিয়তা অনেক কম। তাই তাঁর হয়ে প্রচারে নামতে হয়েছে অভিষেক ব্যানার্জিকে(Avishek Banerjee)। এই কেন্দ্র দখলে রাখতে তৃণমূল সর্বশক্তি প্রয়োগ করলেও অর্জুন সিং বড় কঠিন ঠাঁই। মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা হওয়ায় মুকুল অনুগামীরাও অর্জুনকে জেতাতে মরিয়া। ভোটের নিরিখে অর্জুন খুব স্বাভাবিক সমীকরণেই অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন দীনেশ দ্বিবেদীর থেকে। অর্জুনের জনসংযোগও দীনেশের থেকে অনেক বেশি।