(Photo: PTI)

কলকাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেসের (Left-Congress) ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ (Brigade Rally)। অনেকটা লিটমাস টেস্টের মতো। বুদ্ধবার্তা সঙ্গে নিয়েই ময়দানে নামছে বামফ্রন্ট। অন্যদিকে, যৌথ ব্রিগেডে এই প্রথম বক্তব্য রাখেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও ভাষণ দেন।

মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য: 

  • বসন্ত এসে গেছে, লাল ফুল ফোটা কেউ রুখতে পারবে না।
  • বামেরা শিল্পের জন্য, বিজেপি শিল্প বিক্রির জন্য।
  • বিজেপি খুঁজছে কী কী বিক্রি করা যায়।
  • একদিকে দলবদলের লড়াই, এখানে দিনবদলের লড়াই।
  • ব্রিগেডে আসতে গেলে বিজেপির চার্টার্ড প্লেন লাগে না।
  • আমরা এখানে খেলা করতে আসিনি, এবার দিদিমণিকে মাঠ থেকে নকআউট করতে হবে।
  • মইদুল, সুদীপ্তকে খুন করেছে, ১০ বছরে ২৫০ কমরেড খুন হয়েছে।
  • কেউ কেউ বলল খেলা হবে, মোদিজি স্টেডিয়াম দখল করলেন।
  • লকডাউনের সময় আমরা ২০-২০ খেলেছি, ওরা এখন বলছে খেলা হবে।
  • ভোট আসলেই বলছেন সব করে দেব।
  • ভোটের সময় কাজি, কাজ ফুরোলেই কিষেণজি।
  • বিজেপি মানুষের মধ্যে ভাগ করতে চাইছে।
  • যারা দেশজুড়ে অন্যায় করছে, তারাই বাংলায় এসে দিদির কল্যাণে বলছে অন্যায় রুখে দেব।
  • যে চিটফান্ডের টাকা লুট করেছে, সেই মোদির পাশে বসে বলছে চিটফান্ডের অপরাধীকে গ্রেফতার করব।
  • যে চিটফান্ডের টাকা লুঠ করেছিল, সেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেছে।
  • যারা টাকা নিয়েছে তাদের সম্পত্তি নিলাম করে চিটফান্ডের টাকা ফেরত দেব।
  • বছর বছর এসএসসি-তে নিয়োগ হবে, নিয়মিত চাকরি হবে।
  • পুলিশ উর্দির সম্মান রেখে কাজ করুন।
  • বুথ থেকে ভূত তাড়াতে হবে।
  • যত তাপ বাড়ছে আইসক্রিমের মতো তৃণমূল গলে যাচ্ছে।
  • এমন তাপ বাড়াব, তৃণমূল জল হবে, বিজেপি বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে।

 

ডি রাজার বক্তব্য:

  • বিজেপি, তৃণমূলকে হঠাতেই আজকের ব্রিগেড সমাবেশ।
  • দেশ বাঁচানো আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
  • সংবিধান অনুযায়ী ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
  • নরেন্দ্র মোদি সংবিধানকে বিপন্ন করে তুলেছেন।
  • স্বাধীনতার সময় মহাত্মা গাঁধী বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছিলেন।
  • মোদি, অমিত শাহ ও মোহন ভাগবতের সুবুদ্ধি হওয়া প্রয়োজন।
  • তাঁদের জন্যই দেশের আজ এই অবস্থা।
  • মোদি-শাহ-নাড্ডা বারবার বাংলায় আসছেন।
  • বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে বারবার বলছেন।
  • হারের ভয় পেয়েছে বিজেপি।

সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য:

  • ব্রিগেডে আগে অনেরবার এসেছি, এমন সমাবেশ আগে দেখিনি।
  • এই সমাবেশ প্রমাণ করছে বাংলায় পরিবর্তন আসন্ন।
  • কৃষকদের সংযুক্ত মোর্চা নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই করছে।
  • আর বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করছে সংযুক্ত মোর্চা।
  • ভোটের আগে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে বরাদ্দ করে ভোট কিনতে চাইছে তৃণমূল।
  • তৃণমূল ভাবে রাজনীতি মানে সওদা।
  • বিজেপি-তৃণমূল একই মুদ্রার দুই পিঠ।
  • পেট্রোল থেকে দুধ, সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
  • মোদি নিজের নামেও স্টেডিয়াম বানিয়েছেন।
  • পুঁজিপতিদের ৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছে মোদি সরকার।
  • কৃষকরা ঋণ শোধ না করতে পারলে তার জমি কব্জা করে ব্যাঙ্ক।
  • তৃণমূল-বিজেপি লুঠপাটের সরকার চলছে।
  • লুঠপাট, জাতপাতের সরকার চাই না।
  • ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হলে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গেও সমঝোতা করতে পারে।আগেও বহুবার বিজেপির হাত ধরেছে ওরা।তৃণমূলের এই চরিত্র থেকে সাবধান থাকতে হবে আমাদের। বাংলার মানুষ চায় জনহিতকর সরকার।

আব্বাস সিদ্দিকির বক্তব্য:

  • বাংলার স্বাধীনতা কেড়েছে মমতা।
  • বাংলার নারীদের স্বাধীনতা কেড়েছে মমতা।
  • যেখানেই বামেরা প্রার্থী দেবে, সেখানেই রক্ত দিয়ে জেতাব।
  • পুরনো সব কথা ভুলে গিয়ে বামেদের জেতাব।আমাদের দাবি বামেরা মেনে নিয়েছে।
  • গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ মহাজোট সময়ের প্রয়োজন।
  • টিএমসি গণতান্ত্রিক স্থান নিচু করেছে।
  • বেকারত্ব বেড়েছে।
  • নারীদের উপর আক্রমণ বেড়েছে।
  • সর্বোপরি তারা বিজেপিকে জায়গা দিয়েছে।
  • এই দু'টো দুষ্ট শক্তিকেই পরাস্ত করতে হবে
  • যদি এই সমঝোতা আরও এক সপ্তাহ আগে হত, তাহলে দ্বিগুণ মানুষের জমায়েত করতাম।
  • আগামী দিন বিজেপি ও বিজেপির বি-টিম মমতার দলকে উৎখাত করব।
  • আগামী নির্বাচনে মমতাকে শূন্য করে ছাড়ব।
  • দরকার হলে রক্ত দিয়েও মাতৃভূমিকে স্বাধীন করব।
  • বাংলার মানুষ মমতার সরকারের উপর ক্ষিপ্ত।
  • দিদিমণির হাত থেকে ক্ষমতা একে একে চলে যাচ্ছে।
  • আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অধিকার সুনিশ্চিত করব।
  • ভিক্ষা নয়, অধিকার চাই।
  • আগামী দিন নিজেদের অধিকার নিজেরা বুঝে নেব।
  • অংশীদারিত্ব চাই, যদি কেউ মনে করে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবেন, তাহলে তাঁকে স্বাগত।

অধীর চৌধুরীর বক্তব্য:

  • আজকের সভা প্রমাণ করছে আগামী নির্বাচন TMC-BJP নয়, সংযুক্ত মোর্চা আসছে।
  • আগামী দিনে TMC-BJP থাকবে না, সংযুক্ত মোর্চা থাকবে শুধু।
  • এই ব্রিগেড একটা নমুনা মাত্র।
  • এবার আমরা সরকার বদলাব, নতুন পরিবর্তনের রামধনু ব্রিগেডের মাঠে।
  • বাংলায় শুধু হতাশা, নৈরাস্য, সারা বাংলার অর্থনীতি ধসে গেছে।
  • মোদির জমানায় তেলের দাম আগুন।
  • একদিকে কোহালি, অন্যদিকে মোদি সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছেন।
  • বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ১ টাকা তেলের দাম কমিয়েছেন।
  • বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দয়ার প্রয়োজন নেই।