ক্ষোভে ধীরে ধীরে বাড়ছিল। কিন্তু গত ২৪ সেপ্টেম্বরে সেই ক্ষোভের আগুনে জ্বলে উঠল লাদাখ (Ladakh Violence)। লেহ’তে বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের পাশাপাশি সরকারি দফতরে হামলা চালায় প্রতিবাদীরা। বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছিল শান্ত, শীতল লাদাখ রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। ঘটনার ৮ দিনের মাথায় হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করল সরকার। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী আন্দোলনকারী ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে লেহ’তে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২ জন। আহতদের মধ্যে পুলিশকর্মীও রয়েছেন।
গ্রেফতার হয়েছেন সোনম ওয়াংচুক
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কাদের প্ররোচনায় পরিস্থিতি এত ভয়াবহ আকার ধারণ করল, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুলিশ কী ভূমিকা নিয়েছিল, এই বিষয়টিও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করে দেখা নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে লাদাখের হিংসার ঘটনা নিয়ে পরিবেশবিদ ও সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে পাঠানো হয়েছে যোধপুর জেলে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সোমনের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন রাহুল
সোনমের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এমনকী পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন তিনি। এদিকে তাঁর মুক্তির দাবিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়েছেন সোনমের স্ত্রী গীতাঞ্জলি জে আংমো।