কলকাতা, ৭ আগস্ট: শর্টস ও টি-শার্ট পরে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন তরুণী, এই অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করার নিদান দিল এক মধ্যবয়সী মহিলা। ঘটনাস্থল কোনও অজ পাড়া গাঁ নয় খাস কলকাতার অন্যতম পশ এলাকা লেক গার্ডেন্স। অভিযোগ, শুধু ধর্ষণের হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি ওই মহিলা। এহেন অপ্রীতিকর বক্ত্যের প্রতিবাদ করায় তরুণীকে মারধরও করে সে। আক্রান্ত যখন সহযোগিতার জন্যা চেঁচামেচি শুরু করেছেন তখন সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় ওই মহিলা। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের হলে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেকে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। আরও পড়ুন-Kolkata Taxi Strike: সাত দফা দাবি নিয়ে শহরে চলছে ট্যাক্সি ধর্মঘট, প্রভাব কম, হলুদ ট্যাক্সি পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তরুণী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিলের ছাত্রী। তিনি লেকগার্ডেন্স এলাকায় পিজি থাকেন। গত বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় যারপরনাই আতঙ্কিত ওই তরুণী। সেদিন শপিংমলে কেনাকাটার উদ্দেশ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরণে ছিল শর্টস ও টি শার্ট। আচমকা একটি ব্যাংকে সামনে তাঁর মুখোমুখি হন সিল্কের শাড়ি পরা মাঝবয়সী এক মহিলা। রুক্ষ স্বরে চেঁচিয়ে তিনি ওই তরুণীকে বলেন, “তোমাদের মতো মেয়েদের এখনই রেপ করা উচিত।” স্থানীয় একটি সংবাদপত্রকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তিনি এ কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান। তরুণীর কথায়, “আমি শকড হয়ে যাই। কিন্তু প্রতিবাদ করে বলি ওঁর আমার উপর খবরদারি ও মরাল অথরিটি ফলানোর কোনও অধিকার নেই। আমি এ-ও বলি তিনি যা করছেন তা ফৌজদারি অপরাধ।”
বলা বাহুল্য তরুণী প্রতিবাদ করছেন দেখে কটূক্তি শুরু করে ওই মহিলা। সময় নষ্ট না করে কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশকে ডাকতে যাওয়ার চেষ্টা করতেই তরুণীকে থাপ্পড় মারে সে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তরুণী তাকে সাবধনা করলেও সেসবের তোয়াক্কা না করে ফের তাঁকে চড় মারে। এবার আক্রান্ত তরুণী ডাকাডাকি শুরু করতেই পথচারীও বাড়ির মালিক বেরিয়ে আসেন সাহায্যের জন্য। এদিকে ঘেরাও হয়ে য়াচ্ছে বুঝতে পেরেই পিটটান দেয় অভিযুক্ত মহিলা। এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটি দল পুলিশকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্তের সত্ত্বর গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে। আক্রান্ত তরুণী আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। তিনি তখন সল্টলকে থাকতেন। সম্প্রতি যাদবপুরে ভর্তি হওয়ায় তাঁর বাসস্থানের বদল হয়েছে। দিনেজুপুরে কলকাতার জমজমাট এলাকায় এরকমবাবে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে পার পেয়ে য়াবে কেউ, তা ভাবতেই পারছেন না পড়ুয়ারা। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই মহিলা ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা।