দিন যত গড়াচ্ছে ততই আরজি করে (RG Kar Medical College and Hospital) ছাত্রী খুনের ঘটনা আরও জটিল হয়ে উঠছে। রবিবার রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েনের হোয়াটস গ্রুপের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। যেখানে এক আরজি কর কলেজের ইনটার্ন ও এক পিজিটির মধ্যে কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ওই ইনটার্ন দাবি করছে কলেজে যে বিক্ষোভ চলছে সেটি আদতে মেকি। কলেজের অধ্যক্ষ এই বিক্ষোভ চালাচ্ছে। মূলত আসল অভিযুক্তদের লোকানোর জন্য লোক দেখানো প্রতিবাদ চালানো হচ্ছে। যে আসল অভিযুক্ত সে আসলে একজন প্রভাবশালী ইনটার্ন। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কারণে ইনটার্নদের প্রতিবাদ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাথা না ঘামালেও তবে রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েনের প্রতিবাদকে থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি লেটেস্টলি মিডিয়া কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েল অবশ্য বলছেন, "ঘটনার তদন্ত এখনও জারি রয়েছে। কোনও গুজবে কান দেবেন না। অনেকরকমের খবর ছড়াচ্ছে। কেউ বলছে আমরা কাউকে রক্ষা করছি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। এগুলিতে এখনই বিশ্বাস করবেন না। আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরাও এই গুজবগুলি নিয়ে প্রশ্ন করেছে। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত করছি। যদি কারোর কোনও প্রশ্ন থাকে, সেটা যদি নির্যাতিতার পরিবার হয় কিংবা প্রতিবাদী ছাত্রদের প্রতিনিধি হয় তাহলে অবশ্যই আমরা তাঁদের উত্তর দেব। এমনকী তাঁদের যদি কাউকে সন্দেহ হয় বা তদন্তের গতিবিধি নিয়ে কিছু বক্তব্য থাকে তাহলেও তাঁরা সেই বিষয়ে মতামত দিতে পারে। আমরা অটোপসি রিপোর্ট পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি"।
#WATCH | Kolkata: Regarding the rape and murder of a post-graduate trainee (PGT) female doctor at RG Kar Medical College and Hospital on the night of August 9, Kolkata Police Commissioner Vineet Kumar Goyal says"...Joint CP Crime has met the family of the deceased today also. The… pic.twitter.com/PloRCmVKe1
— ANI (@ANI) August 11, 2024
প্রসঙ্গত, এই ঘটনা নিয়ে ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। পরিবারেও দাবি যে চেস্ট ডিপার্টেমেন্টের কেউ এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। দিন কয়েক ধরেই তাঁদের মেয়েকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ইচ্ছাকৃতভাবে তিন চারজন পুরুষ ডাক্তারদের সঙ্গে নাইট ডিউটি দেওয়া হত। বিশ্রাম নিতে দিত না। এমনকী ধর্ষণের অভিযোগ প্রথমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।