কলকাতা, ২৩ জুন: কলকাতার (Kolkata) ফুলবাগান এলাকার ৩২-এ রামকৃষ্ণ সমাধি রোডের আবাসনে জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে স্ত্রী শিল্পী আগরওয়ালকে খুনের পর ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় চলে আসেন অমিত আগরওয়াল। সোমবার স্পাইস জেটের বিমানে কলকাতায় ফিরে ছেলেকে ভাইয়ের বাড়িতে রাখেন। তারপর সোজা চলে যান ফুলবাগানে শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে গিয়ে বছর ৭০-এর শ্বশুর মশাই সুভাষ ঢনঢনিয়ার সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এই ঘটনা অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ। স্বামীকে বচসা থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন অমিতের শাশুড়ি ললিতা ঢনঢনিয়া(৬০)। ক্ষিপ্ত অমিত আগরওয়াল তখন শাশুড়িকে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রাণে বাঁচতে ততক্ষণে ফ্ল্যাট ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন সুভাষ ঢনঢনিয়া। বাইরে থেকে ফ্ল্যাটের দরজায় তালা ঝুলিয়ে তিনি প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। সেখানেই থানায় ফোন করে সবকথা খুলে বলেন। দ্রূত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফুলবাগান থানার পুলিশ। ফ্ল্যাটের দরজা খুললে দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে ললিতা ঢনঢনিয়ার রক্তাক্ত দেহ। বিছানায় পড়ে অমিত আগরওয়ালের দেহ। পাশে ছিল একটা চিরকুট। তাতেই লেখা স্ত্রী শিল্পীকে তাঁর বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে খুন করেই ছেলেকে নিয়ে বোঝাপড়া করতে কলকাতায় শ্বশুর বাড়িতে আসে অমিত। শ্বশুরকেও খুনের পরিকল্পনা ছিল, তবে তিনি সতর্ক হওয়ায় এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন। অমিতের কাছে রিভলবার কী করে এল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১৪ হাজার ৯৩৩, দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা ছাড়ালো ৪ লক্ষ ৪০ হাজার
সুইসাইট নোট পেয়েই কলকাতা পুলিশের তরফে বেঙ্গালুরু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ডের মহাদেবপুরমের অভিজাত ব্রিগেড মেট্রোপলিস অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শিল্পীর দেহ উদ্ধার করে। ফ্ল্যাটে ঢুকেই দেখা যায় ধস্তাধস্তির চিহ্ন। শিল্পীদেবী অমিতকে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দিতে চাননি, জোর করে ঢুকে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে অমিত। দুজনের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। ছেলে থাকতো মায়ের কাছে। শিল্পী একাই থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। অমিত কলকাতায় থাকতো। মাঝে মাঝে আদালতে মামলা উঠলে বেঙ্গালুরুতে যেত হত তাকে। শ্ল্পীকে খুনের খবর ছেলেকে না দিয়েই তাকে কলকাতায় আনেন অমিত। বলেন, বিশেষ কাজে কলকাতায় রয়েছে শিল্পী। কী কারণে এই জোড়া খুন তানিয়ে ধন্দে পুলিশ।