কলকাতা, ৮ জুলাই: বাইকে চড়ে যেতেই যেতেই যৌন হেনস্তা, আতঙ্কে রাস্তায় যাতায়াতই বন্ধ করে দিয়েছিলেন মহিলারা। ১৭ থেকে ৩৭ অভিযুক্ত বাইকার কাউকেই রেয়াত করত না। শেষমেশ সেই বাইকারকে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম বিকাশ কুমার গুপ্ত, বাড়ি লেক গার্ডেন্স এলাকায় ধৃতকে এদিন আদালতে তোলা হলে বিচারক জেলা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আরও পড়ুন- মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে জল্লাদ বললেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী
অভিযোগ, রাস্তা একটু ফাঁকা থাকলেই ওই মোটরবাইক চালক পথচলতি একা মহিলা বা তরুণীর গায়ের কাছে এসে চলন্ত বাইক থেকেই যৌন নিগ্রহ করে বাইকের গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যেত। লেক থানায় প্রথম অভিযোগটি নথিভুক্ত হয় ২ এপ্রিল। এর পর একই রকম বাইক চালকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নথিভুক্ত হয় মে মাসের ২০ তারিখ। প্রথম দু’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগকারীরা অল্প আলোয় হেলমেট ঢাকা বাইক চালকের মুখ দেখতে পাননি। বাইকের নম্বরও দেখতে পাননি। ডিসি দক্ষিণ-পূর্ব অজয় প্রসাদ বলেন, ঠিক একই রকম বাইকচালকের বিরুদ্ধে তৃতীয় অভিযোগটি নথিভুক্ত হয় ২০ জুন।প্রথম দিকে অভিযোগগুলি নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে বিশেষ কিছু না পেয়ে হাল ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু তৃতীয় অভিযোগটি নথিভুক্ত হওয়ার পরই ডিসি নিজে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
প্রতিটি ঘটনাস্থলে এবং তার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ভাবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করতে গিয়েই ঘটনাস্থলের আশপাশে এবং ঘটনার সময়ে এক বাইক চালককে দেখা যায়। প্রতিটি ঘটনার সময়েই সিসি ক্যামেরায় বাইকের নম্বর স্পষ্ট দেখা না গেলেও ওই বাইকে দেখা যায় ২০ লিটারের প্যাকেজড জলের জার। সেই জলের জার কারা বাড়ি বাড়ি বাইকে করে সরবরাহ করে তা নিয়ে খোঁজ করতে করতেই হদিশ মেলে অভিযুক্তের। জানা গিয়েছে শুধু লেক থানা এলাকার মহিলারাই নয় বিকাশের যৌন নিগ্রহের শিকার রবীন্দ্র সোরবর, গড়িয়াহাট চত্বরের মহিলারাও।