Chhath Puja 2019: রবীন্দ্র সরোবরের বিকল্প হিসেবে ছটপুজোর জন্য খুলে গেল পাটুলি ও নোনাডাঙা ঝিলের চারটি নতুন ঘাট; উদ্যোগ কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভার
রবীন্দ্র সরোবর (প্রতীকী ছবি: Twitter)

কলকাতা, ৩১ অক্টোবর: রবীন্দ্র সরোবরের (Rabindra Sarobar Lake) বিকল্প হিসেবে ছটপুজোর (Chhath Puja) জন্য খুলে দেওয়া হল নতুন চার-চারটি ঘাট। পাটুলি ও নোনাডাঙা (Patuli and Nonadanga) ঝিলে তৈরি হয়েছে ঘাটগুলি। বত্রিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই দুটি ঝিলে চারটি নতুন ঘাট (Ghat) তৈরি হয়েছে। যার সম্পূর্ণ উদ্যোগ কেএমডিএ অর্থাৎ কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (Kolkata Metropolitan Development Authority) এবং কলকাতা পুরসভার (Kolkata Corporation)। ছটপুজো উপলক্ষে বস্তুত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই চারটি নতুন ঘাট সহ শহরের ১৫টি জলাশয়কে সাজিয়ে তুলেছে কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভা। গতকাল বুধবার বিকেলেই নোনাডাঙায় পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ (Meyor Firhad Hakim) হাকিম তিনটি ঘাট সহ পাটুলির নতুন ঘাটের উদ্বোধন করেন।

সিমেন্টে বাঁধানো পাকা ঘাট। পারের দুধারে চওড়া চাতাল। তারপাশে পোশাক বদলের জন্য রাখা হয়েছে অস্থায়ী ঘর। সর্বত্র ব্যবস্থা রয়েছে পর্যাপ্ত আলো, বাঁশের ব্যরিকেডেরও। ফুল-মালা ফেলার জন্যও রয়েছে আলাদা জায়গা। অস্থায়ী শৌচাগার ও পানীয় জলের জন্যও নির্দিষ্ট হয়েছে জায়গা। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, "জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা যাবে না। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে আমরা চোদ্দো থেকে পনেরোটি ঘাট বানিয়েছি। মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়।" প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয়রাও (Locals)। সরোবর এলাকার এক স্থানীয়ের বক্তব্য, "আয়োজনে কোনও রকম ত্রুটি নেই। যেহেতু রবীন্দ্র সরোবরে কেউ যেতে পারবে না, তাই নতুন চারটি ঘাটে খুব ভিড় হবে।" আরও পড়ুন: Mumbai, Kolkata may get flooded by 2050: ২০৫০ সালের মধ্যে সর্বগ্রাসী সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাবে সাধের কলকাতা, কেন জানেন?

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ছটপুজোয় গড়িয়া, সোনারপুর, যাদবপুরের হাজার হাজার লোক ভিড় করেন পাটুলি ঘাটে। স্থানীয় ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty) এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'অস্থায়ী চিকিৎসা শিবিরও থাকবে ছটপুজোর জন্য। যা তৈরি নতুন ঘাটে। কারও যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।' পুরসভা এবং কেএমডিএ সূত্রে খবর, এইসব ঘাটে আলোর অভাব দূর করতে অন্তত গোটা তিরিশ করে হ্যালোজেন লাগানো হয়েছে। পাটুলি ঝিলে উচ্চ বাতিস্তম্ভ বসানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।"

(এই সময় পত্রিকার খবর অনুযায়ী)