বাবুল সুপ্রিয় প্রশ্নের উত্তরে মারতে এসেছিলেন তাই আত্মরক্ষা করেছি, ক্যানসার আক্রান্ত মাকে দিয়ে জোর করে ক্ষমা চাওয়ানো হয়েছে, মুখ খুললেন যাদবপুরের দেবাঞ্জন
এই সেই ছবি(Photo Credit: Social Media)

কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর: “আমি কোনও ভুল কাজ করিনি, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলবই।” বর্ধমানের দেবাঞ্জন বল্লভ। গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চত্বরে এসে হেনস্তার মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তানিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম তোলপাড় হয়নি। যতই বড় করে দেখানো হোক বাবুল হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তার তুলনায় বাবুলের দ্বারা হেনস্তার সংখ্যাটা আরও বেশি। ছাত্রীর ঘাড়ে মাথা দিয়ে রদ্দা মারা থেকে শুরু করে, হুমকি মারধর কিছুই বাদ দেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অভিযোগ, বর্ধমানের দেবাঞ্জন যাদবপুরের ছাত্র, একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি বাবুলের মাথার চুল ধরে টানছেন। সেই ছবি ভাইরাল হতেই সবাই রে রে ছুটে এসেছে। এমনকী দেবাঞ্জনের ক্যানসার আক্রান্ত মা-কেও বাবুলের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছে।

অভিযোগ, বাবুল সুপ্রিয় ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই নাকি তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা দেবাঞ্জনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাকে দিইয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। তারপর বাবুল বেশ মোলায়েম গলায় প্রত্যুত্তর দেন, “দুশ্চিন্তা করবেন না মাসিমা। আপনি সেরে উঠুন। আপনার ছেলের কোনও ক্ষতি হবে না।” এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়ে দেবাঞ্জন বলেন, “আমি মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম। উনি উত্তর না দিয়ে আমাকে মারতে গিয়েছিলেন। আমি আত্মরক্ষা করেছি মাত্র! আর সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবিটি ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটা তো বিজেপির আইটি সেলের কীর্তি। ফের ছবি বিকৃত করে মানুষের মনে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।” নিজেকে বাঁচাতে তিনি যা করেছেন, তা প্রয়োজনে ফের করবেন। এই কারণে মোটেও অনুতপ্ত হওয়ার কিছু নেই, সোমবার ক্যাম্পাসে এসে জোর গলায় জানালেন দেবাঞ্জন। আরও পড়ুন-যাদবপুর কাণ্ডে ABVP-র মিছিল আটকাল পুলিশ, তীব্র উত্তেজনার মাঝে রাস্তায় গার্ডওয়ালের সামনে বসেই চলছে অবস্থান

ওই পড়ুয়ার অভিযোগ, তাঁর মায়ের ক্যানসার নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। জোর করে ওই ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও তোলানো হয়েছে। বলা বাহুল্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তল হয়ে ওঠে যাদবপুরের ক্যাম্পাস চত্বর। বাবুল সুপ্রিয়র দাবি, সেখানকার পড়ুয়ারা তাঁকে মেরেছেন। তাহলে তিনি যে ভাষায় উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলছিলেন তা কোনও শিক্ষিত রুচিশীল মানুষের পরিচায়ক হতে পারে না। তিনি উপাচার্যকে রীতিমতো চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এসব দেখে বাবুলকে মন্ত্রী কম রাজনৈতিক দলের বাউন্সার বেশি মনে হয়েছে। এমনটাই দাবি রাজনৈতক বিশেষজ্ঞদের।