সন্তোষপুরের মেসের মধ্যে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার বিএম মণ্ডল রোডে। মৃত যুবকের নাম প্রতীপ কুমার মান্না, বয়স ২১। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক এলাকায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড টেকনোলজি ও বায়োকেমিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। সন্তোষপুরের মেসে প্রতীপের সঙ্গে অর্ক মাইতি নামক আরেক পড়ুয়া থাকতেন। তাঁকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে পুলিশ।
অর্ক জানিয়েছেন, এদিন সন্ধের দিকে আচমকাই অসুস্থতা বোধ করেন প্রতীপ। সেই তাঁকে দোকান থেকে ওষুধ আনতে বলেন। এই ওষুধ নিয়ে যখন ৮টা নাগাদ অর্ক মেসে ফেরেন, তখন দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই যুবক। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে কেপিসিতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা অবশ্য প্রতীপকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হলে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অসুস্থতার কারণে মাঝেমধ্যেই ক্লাসে আসতেন না প্রতীপ। এমনকী পরীক্ষাও তাঁর মিস যেত। যদিও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সুনিতা অধিকারী ঘটনাটি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এদিকে পরিবারের দাবি, যুবক অসুস্থ ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এভাবে মৃত্যুর কারণে তাঁদের মধ্যেও রহস্য ঘণীভূত হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।