শহর কলকাতার বুকে ফের বাসের বেলাগাম গতির শিকার পরিবার। সাতসকালে সরকারি বাস পিষে দিল এক মহিলাকে। একটুর জন্যে প্রাণ বেঁচেছে তাঁর চার বছরের শিশুকন্যা এবং স্বামীর। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন মৃতার স্বামী। তাঁকে ইইডিএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অক্ষত রয়েছে খুদে শিশু।
মঙ্গলবার সকালে যাদবপুর দিয়ে মেয়েকে স্কুলে দিতে যাচ্ছিলেন বাঘাযতীনের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী দেবশ্রী। তাঁদের চার বছরের মেয়ে অঙ্কিতা পড়ে ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী বালিকা বিদ্যালয়ে। প্রতিদিনের মতই এদিনও বাবার স্কুটার চেপে স্কুলে যাচ্ছিল অঙ্কিতা। কিন্তু পথে ঘনিয়ে এল বিপদ।
যাদবপুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা
যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি দ্রুতগতির এস-৩১ বাস ধাক্কা মারে স্কুটারে। একেবারে পিষে দেয় মহিলাকে। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃতার নাম দেবশ্রী মণ্ডল (২৮)। প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর জখম হয়েছেন মৃতার স্বামী। বরাতজোরে শিশুকন্যা অক্ষত। সকাল ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনার ফলে মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এইটবি এলাকায়। যান চলাচল ব্যহত হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিশ। নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। উত্তেজিতা জনতাকে সরিয়ে যান চলাচলের জন্য রাস্তা করে দেওয়া হয়। শিশুটিকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে যাদবপুর থানায়। খবর দেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবারকে। তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত বাস চালক দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। শহর কলকাতার রাস্তায় বেসরকারি বাসের রেষারেষিতে পথে বলি হতে হয় বহু মানুষকে। কিন্তু সরকারি বাসের এমন বেলাগাম গতি নিয়ে সমালোচনার মুখে রাজ্য পরিবহণ দফতর।