বারাসত, ২ জানুয়ারি: বর্ষবরণের রাত থেকেই উত্তাল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ডিভিশনের দত্তপুকুর (Duttapukur) এলাকা। সেখানে এক দোকানদারের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এনিয়ে স্থানীদের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম বচসা তারপর হাতাহাতি শুরু হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ততক্ষণে বিক্ষুব্ধরা দত্তপুকুর হাটখোলা লাগোয়া যশোহর রোডে অবরোধ শুরু করেছে। একইভাবে দত্তপুকুর স্টেশনেও অবরোধ শুরু হয়ে গেলে। বনগাঁ শাখার ট্রেন চলাচল সম্পূর্ম বিপর্যস্ত হয়। এককথায় ৩১ ডিসেম্বর রাতে তাড়াতড়ি বাড়ি ফিরে পরিবারের বর্ষবরণের মুহূর্ত কাটাতে পারেননি নিত্যযাত্রীদের বেশিরভাগ। রাতে অন্তত ঘণ্টাচারেক ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্ষবরণের দিন গোটা এলাকা থমথম করলেও উত্তেজনার পারদ বেশি চড়েনি।
তবে অশান্তি বাড়তে পারে আঁচ করেই দত্তপুকুর, দেগঙ্গা ও আমডাঙা এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বারাসত পুলিশ প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বর্ষশেষে দত্তপুকুরে চলছিল মেলা। হাটখোলার ক্লাবের তরফেই মেলার আয়োজন করা হয়। সেই ক্লাবেই এক ব্য়বসায়ীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বাধে বিপত্তি। মৃত ব্যবসায়ী ওই ক্লাবের সদস্য আবার মেলা কমিটিরিও সভ্য তিনি। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই ক্লাব কমিটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক পক্ষের দাবি প্রতিপক্ষের লোকজনই তাঁকে খুন করেছে। তবে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হলেও খুনের প্রমাণ মেলেনি। আরও পড়ুন-Republic Day 2020: 'নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ফল', ট্যাবলো বাতিলে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ তৃণমূলের
এদিকে অভিযোগের আঙুল যে পক্ষের দিকে তাদের বিরুদ্ধেই এলাকায় কানাঘুষো শুরু হলে। বাসিন্দাদের একাংশ খেপে যায়। মারধর ভাঙচুর পথ অবরোধ কিছুই বাদ যায়নি। সমাজ বিরোধীরা এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রুপ দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। গুজব ছড়িয়ে পড়লে ফের হিংসার আশঙ্কা রয়েছে বুঝতে পেরেই সংশ্লিষ্ট এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। দিনেরাতে টহল দিচ্ছে পুলিশ।