কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ঘিরে প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে সারা দেশ। দেশজুড়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে বহু জায়গা। বাদ নেই দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলিও। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও ধেয়ে আসছে প্রতিবাদের আগুন। বঙ্গেও প্রতিবাদের আঁচ গনগনে। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত সপ্তাহের শুক্রবারের দুপুরের পর থেকে উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা। শনিবারের পর রবিবারও রেল অবরোধ, রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে রবিবার রাজ্যের ৬ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet service) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকী ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও (North Bengal) ছবিটা একই। এখানে বছরের বিভিন্ন সময় হাওয়া বদল করতে যান বহু পর্যটক। রাজ্যজুড়ে চলা প্রতিবাদের ঘেরাটোপে আটকে পড়েছেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তির শিকার হওয়া সেই সমস্ত মানুষকে ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। ওইসব পর্যটকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা ফেরার জন্য ২টি সরকারি বাসের (Government Bus) ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, এনজেপি স্টেশন থেকে বাসদুটি কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে। তবে, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গাড়ি দুটির সামনে ও পেছনে ব্যবস্থা করা হয়েছে পাইলট কারের। আরও পড়ুন: Internet Services Suspended In West Bengal: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অশান্তি চরমে, ৬ জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল (Rail) যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন। বাতিল হচ্ছে রুটে একের পর এক ট্রেন। শিয়ালদহ সাউথ সেকশনে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। গত তিন দিন ধরে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। গতকাল সোমবারও পূর্ব রেল উত্তরবঙ্গ ও লালগোলাগামী ২০টি ট্রেন বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে মালদা পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে। উত্তরবঙ্গগামী রামপুরহাট-পাকুড় ও আজিমগঞ্জ-নিউ ফারাক্কা লাইন মালদা স্টেশনে মিশেছে। মালদার পর থেকে উত্তরে যেতে হলে ভালুকা রোড ও হরিশচন্দ্রপুর স্টেশন পার করতে হয়। কিন্তু এই স্টেশন দু’টি এমনভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে যে, শিয়ালদহ ছাড়ার পরে নিউ জলপাইগুড়িগামী কোনও ট্রেনই আর মালদা স্টেশন পার করতে পারছে না।