প্রতীকী ছবি (File Image)

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস শুরু হল রাজ্যে। গত বুধবারই বাংলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে। এরমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় অশান্তির খবর এসেছে। অন্যদিকে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হচ্ছে সিতাই, মাদারিহাট এলাকাতেও। এরমধ্যেই কোচবিহারের তুফানগঞ্জ (Tufanganj) এলাকায় তৃণমূল নেতা ভেবে তাঁর পবিরারে সদস্যের ওপর গুলি চালানোর অভিযোদ উঠল একদল দুষ্কৃতির ওপর। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের মহিষকুচি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকোয়ামারি গ্রামে। জানা যাচ্ছে, এই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নিহার বড়ুয়ার ক্র্যাশারের একটি ঘরে হামলা চালায় কয়েকজন আততায়ী। তবে গতকাল সৌভাগ্যবশত তিনি ওই ঘরে ছিলেন না। ফলে তাঁর ওপরে হামলা না হলেও তাঁর ভাগ্নের ওপর গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতিরা। কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দেওয়ালে লাগে। তারপরেই কোনওমতে পেছনের জানলা দিয়ে পালিয়ৈ বাঁচে সে।

জানা যাচ্ছে তুফানগঞ্জ ২-এর তৃণমূল সভানেত্রী চৈতি বর্মন বড়ুয়ার ছেলে নিহার কর্মসূত্রে ওই ক্র্যাশারের ঘরেই থাকতেন। কিন্তু এদিন দলীয় কাজে কোচবিহার গিয়েছিলেন। সেখান কাজ মিটতে দেরি হওয়ায় নিজের বাসভবনে চলে যান। তাঁর জায়গায় ক্র্যাশারে ছিলেন তাঁর ভাগ্নে। অভিযোগ, এদিন মধ্যরাতে দরজার লক ভেঙে কয়েকজন ঘরে ঢুকে পড়ে। ওই যুবক শুয়ে ছিল বলে প্রথমে তাঁকে না দেখেই গুলি চালায় অভিযুক্তরা। সেই গুলির আওয়াজ শুনে আতঙ্কে জানলা থেকেই পালিয়ে যায় সে।

এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নিহার। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি। অন্যদিকে, এই ঘটনার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতার। তাঁর দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল এই এলাকা থেকে বিপুল ভোট তৃণমূলে পড়েছিল। তাই জনসমর্থন হারানোর ভয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেনয