Arjun Singh (Photo Credits: IANS)

বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এসআইআর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই আঁচেই ধীরে ধীরে তপ্ত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। ভুয়ো ভোটার কারা, কাদের তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে, এই নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত। এরমধ্যেই নৈহাটি থেকে ধরা পড়ল এক পাকিস্তানি নাগরিক। নৈহাটি (Naihati) বিধানসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গৌরীপুর এটি ঘোষ লেনের বসবাস করেন সালেয়া ইমরান খাতুন। তাঁর স্বামী এদেশের নাগরিক হলেও দুবাইতে দুজনের বিয়ে হয়। তারপর থেকে ২৮ বছর ধরে ভারতেই রয়েছে সালেয়া।

ভুয়ো ভোটারের প্রমাণ ফাঁস করলেন অর্জুন সিং

জানা যাচ্ছে, এখানে স্বামী, দুই সন্তান নিয়ে দিব্যি বসবাস করছে সালেয়া। ২০০৮ সালে ভোটার কার্ড পান সে। তবে তাঁর কাছে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল, যা সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান ইস্যুর কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছে। তারপরেও সে কীভাবে এদেশে রয়েছে এবং তাঁর কাছে ভোটার কার্ড এলোই বা কী করে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার তথ্য প্রমাণ নিয়ে এই বিষয়টি সামনে এনেছেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিইও-কে চিঠি লিখেছেন।

ভারতীয় নাগরিকত্বের দাবি সালেয়ার স্বামীর

এদিকে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে। তিনি অবশ্য কেন্দ্রের দিকেই দায় ঠেলেছেন। তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশন ভোটার কার্ড দিয়েছে। ফলে এই ব্যাপারটি তাঁদের ও কেন্দ্রের দেখা উচিত। এদিকে মহিলার স্বামীও স্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রী পাকিস্তানের নাগরিক। ২০০৮ সালে ভোটার তালিকায় তাঁর নাম এসেছে। সেই সময় থেকেই ভোট দিচ্ছে সে। তবে কীভাবে তাঁর নাম উঠল, সেই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সে। তবে এখন সে ভারত সরকারের কাছে নাগরিকত্বের দাবি জানিয়েছে।