Doctor Dies From COVID-19: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু, স্তব্ধ চিকিৎসকমহল
রাজ্যে (West Bengal) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Death) হল এক চিকিৎসকের (Doctor)। শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ তিনি মারা গেছেন। রাজ্যে এই প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনও চিকিৎসকের মৃত্যু হল। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে সল্টলেকের আমরিতে ভর্তি ছিলেন ওই চিকিৎসক। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কলকাতা, ২৬ এপ্রিল: রাজ্যে (West Bengal) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Death) হল এক চিকিৎসকের (Doctor)। শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ তিনি মারা গেছেন। রাজ্যে এই প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনও চিকিৎসকের মৃত্যু হল। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে সল্টলেকের আমরিতে ভর্তি ছিলেন ওই চিকিৎসক। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
লালারসের নমুনা করোনার পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয় ওই তাঁকে। ওই দিনই গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় হাসপাতাল। আমরি হাসপাতালের মিডিয়া রিলেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার দ্রিমি চৌধুরী জানান, "রাত দেড়টা নাগাদ ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।" যদিও তাঁর মৃত্যু করোনায় নাকি কো-মর্বিডিটির কারণে সে বিষয়ে স্বাস্থ্যভবন সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি। আরও পড়ুন, কিম জং উন কি প্রয়াত হয়েছেন? সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল শেষকৃত্যের ছবি
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কয়েক জন চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন, কেউ বা হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন। তাঁরা আপাতত ভালই রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অর্জুন দাশগুপ্ত আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানান, "আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। ভোরের দিকে খবর পাই উনি মারা গিয়েছেন। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন করোনা মোকাবিলায়। প্রত্যেককেই বলব যাতে সতর্ক ভাবে নিয়ম মেনে কাজ করেন।" বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "আইএমএ-এর বর্ষীয়ান সদস্য ছিলেন। তাঁকে আমরা হারালাম। ওঁর স্ত্রীও করোনা পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।" করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা গেলে, তাঁর দেহ সৎকারের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর সেই নিয়ম মেনেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।