আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি, ফেসবুকে এমন লাইভ করে বেঁচেই গেল যুবক__ কীভাবে?
প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

কলকাতা, ২৩ জুলাই:  অবসাদ যেন ধীরে ধীরে মাথায় চেপে বসেছিল। কোনওভাবেই রেহাই মিলছিল না। ফেসবুক লাইভে আত্মহননের সিদ্ধান্ত জানিয়ে চরম পরিণতির দিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে যান ওই যুবক। তবে সেই ফেসবুক পোস্টটি তাঁকে বাঁচিয়ে দিল।সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার পিকনিক গার্ডেন এলাকায়। আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি, এই শব্দটুকুই তাঁর প্রাণ বাঁচিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন মনোবিদ ও লালবাজার। গোটা ঘটনায় ফেসবুকেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য। আরও পড়ুন-Kolkata Metro Accident: সময়ে সাড়া দিল না সেন্সর, ফের কলকাতা মেট্রোয় আটকে গেল যাত্রীর হাত

পুলিশ আত্মহত্যা করতে যাওয়া যুবককে বাঁচিয়ে দিলেও তিনি কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা প্রকাশ করেনি। ফেসবুক আত্মহত্যা শব্দটির সঙ্গে বিশেষ পরিচিত, তাই বিপদবুঝে কলকাতা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। জানায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে ওই ইউজারকেযাতে পুলিশ খুব তাড়াতাড়ি ট্র্যাক করতে পারে তারও ব্যবস্থা হয়। ইউজারের ফোনের আইপি অ্যাড্রেস চলে যায় কলকাতা পুলিশের কাছে। সাইবার সেলের গোয়েন্দারা ফেসবুকের দেওয়া তথ্য এবং ওই যুবকের প্রোফাইল ঘেঁটে পোস্টটি কোন মোবাইল থেকে করা হয়েছে, তা বার করেন। এর পর সেই মোবাইলের আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে যুবকের ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করেন। দেখা যায়, ওই যুবকের মোবাইল লোকেশন সেই মুহূর্তে কসবা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেন। সঙ্গে সঙ্গেই কসবা থানায় খবর যায়। এরপর কসবা থানার ওসি যুবকের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনে পৌঁছে যান। ঘটনাস্থল কোনও বাড়ির ঠিকানা নয় যদিও, সেখানেই অবসাদগ্রস্ত যুবকের সঙ্গে কথা বলেন ওসি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একজন মনোবিদ। তিনিও যুবকের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে পারেন, অবসাদে ভুগছেন ওই যুবক, সঙ্গে পারিবারিক অশান্তিও চলছে। কিছুদিনের জন্য বাড়ি চেড়ে চলে গিয়েও অবসাদ কাটাতে পারেননি তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এরপর অনেক করে বুঝিয়েসুজিয়ে তাঁকে বাড়িতে রওনা করিয়ে দেন ওসি ও মনোবিদ।

ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার খবর জানিয়ে মর্মান্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে গিয়েছে ইুজার। এমন ঘটনা এ শহরে আগেও ঘটেছে। তবে এবার ফেসবুকের সৌজন্যে তা রুখে দিল লালবাজার। সঙ্গে কলকাতা পুলিশের তৎপরতা। তবে যুবকের প্রাণ বাঁচিয়েও তাঁকে নিয়ে প্রচার চায়নি পুলিশ। কারণ মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় গোপন রাখাও পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।