কলকাতা, ১৩ অক্টোবর: মহাষ্টমীর (Maha Ashtami) সন্ধ্যায় উৎসবে মাতোয়ারা শহর। উত্তর থেকে দক্ষিণ, শ্রীভূমি থেকে বড়িষা ক্লাব। সব জায়গাতেই মানুষ ভিড় জমিয়েছে। হ্যাঁ, করোনার ভয় আছে। তবু মানুষের আবেগ তো কোথাও গিয়ে মেলে। ভিড় না করতে চেয়েও, ভিড়ের অংশ হয়ে থেকে যেতে হয়। সকালে অষ্টমীর অঞ্জলি সেরে, দুপুরে ভালমন্দ খেয়ে, এবার প্যান্ডেলে প্যান্ডেল ঘুরছে বাঙালি। কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টিও হচ্ছে। মেঘও ডাকছে। মুখে মাস্ক, হাতে ছাতা ধরেই শুরু হয়েছে প্যান্ডেল যাত্রা। অনেকে আবার পাড়াতেই বসে দিচ্ছেন আড্ডা। বাঙালির ক্যালেন্ডার এই একটা দিন, আজীবন উৎসবের সেরা দিন হয়ে থাকে। আজকের সন্ধ্যাটা বছরের বাকি দিনগুলোর থেকে একেবারে আলাদা। আজ শুধু আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, আলোর আলোয় মিশে উৎসবে গা ভাসানোর।
ভিড়ের নিরিখে এবার বাকিদের টেক্কা দিচ্ছে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফাকে কলকাতায় হাজির করা শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। খুব বেশি পিছিয়ে নেই নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘ-এর আবদার থিমও। কলেজ স্কোয়ার, মহম্মদ আলি পার্ক প্রমাণ করছে খোলা প্যান্ডেলও একইরকম দেখার মত হয়। একডালিয়া এভারগ্রিনে আলোর বাহার কম হলেও মণ্ডপ হয়েছে দেখার মত। সিংহী পার্কের আলো এবর নজর কাড়ছে, সঙ্গে প্রতিমা তো আছেই। আরও পড়ুন: আজ অষ্টমী, WhatsApp, Messenger, Facebook-এ বন্ধু পরিজনকে পাঠান মহা অষ্টমীর শুভেচ্ছা বার্তা
বেহালা, খিদিরপুরেও এবার ভাল ভিড় হচ্ছে। সব মিলিয়ে কলকাতা এখন উৎসবে মাতোয়ারা। করোনা অসুর হয়ে কোথাও লুকিয়ে আছে। মেঘও বৃষ্টি নিয়ে অসুর হয়ে হাজির হতে চলেছে। কিন্তু কলকাতার স্পিরিটের কাছে সব পরাস্ত হবে সেটাই মনে হচ্ছে। সবার শেষ বলতেই হচ্ছে, পুজোর আয়োজকদের কথা। প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে ভলিন্টিয়াররা কড়া নজর রাখছেন, মুখে মাস্ক আছে কি না তা দেখতে। মাস্ক না থাকলেই রে রে করে সতর্ক করছেন।