বর্ধমান, ২৯ অক্টোবর: অগ্রিম বেতন (Prepayment) নিয়ে বচসার (Fight) জেরে খুনের (Murder) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrested) গাড়ি চালক (Driver)। ওই গাড়ি চালকের নাম তপন দাস। বচসা এমন পর্যায় পৌঁছে যায় যে মালিকের স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করে ওই চালক। ঘটনায় চিকিৎসক (Doctor) বাধা দিতে গেলে তিনি নিজেও আক্রান্ত হন। তাঁকে সংকটজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Bardhaman Medical College Hospital) ভরতি করা হয়।
তপন দাস নাম ওই ব্যক্তি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুব্রত নাগ নামে এক চিকিৎসকের গাড়ি চালাচ্ছে। ডাক্তার সুব্রত নাগ (Dr. Subrata Nag) পেশায় অ্যানাস্থেসিস্ট। দম্পতির ছেলে কর্মসূত্রে আমেরিকায় থাকেন। তাঁদের বাড়িতে পরিচারিকা হিসেবে থাকেন জবা প্রামাণিক। এছাড়া বাড়িতে মালি-সহ আরও কয়েকজন পরিচারক-পরিচারিকা রয়েছেন।
আরও পড়ুন, কালীপুজোর রাতে কলকাতায় শব্দদূষণের সঙ্গে বায়ুদূষণের দাপট
স্থানীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার বিকেলে গাড়ি চালক তপন গিয়ে বাড়িতে যায়। বাড়ির সকলেই তখন দোতলায় ছিলেন। মৌসুমী দেবীই দরজা খুলে দেন। এরপর দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বাড়ির প্রধান পরিচারিকা জবা প্রামাণিকের কথায়, “তপন বেতনের টাকা অগ্রিম চায়। এমনকী তিন মাসের বেতন একসঙ্গে অগ্রিম দিতে হবে বলেও দাবি করে। তখন ম্যাডাম বলেন, মাস শেষ না হলে বেতন কেন দেবেন। আর তিনমাসের অগ্রিমও দেওয়া সম্ভব নয়। তখন তপন বলে,সে কাজ ছেড়ে দেবে। ম্যাডাম পাল্টা তাকে কাজ ছেড়ে দিতে বলেন।” এতেই বচসা বড় আকার নেয়।
এরপরই তপন গাড়ি থেকে একটা লাঠি নিয়ে এসে মারতে শুরু করে মৌসুমীদেবীকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে বাড়ির পরিচারিকা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ গোটা ঘটনাটির তদন্ত করছে। সুব্রত নাগ সুস্থ হয়ে উঠলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।