
কলকাতা, ২৯ নভেম্বর: সকালের প্রাতঃভ্রমণ মানেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের শব্দবাণ প্রয়োগের সুসময়। ২০২৪-এর ভোটের আগে ধীরে ধীরে দেশজুড়ে প্রভাব বিস্তার করছে তৃণমূল। বিরোধী শক্তি হিসেবে তৃণমূলের এহেন উত্থানের মাঝে কংগ্রেস যেন কেমন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে যে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে তা বেশ স্পষ্ট। মমতা সনিয়ার এই টানাপোড়েনের মধ্যে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। সোমবার কটাক্ষের সুরে বললেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নেতা হতে চাইছেন। সনিয়ার দিন শেষ। ওরা ঠিক করুক, কে কার সঙ্গে থাকবে না থাকবে। বিরোধীদের বৈঠক নাটক। বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে বিজেপি-র কোনও মাথা ব্যথা নেই। কে বৈঠক ডাকবে, কংগ্রেস না তৃণমূল, কোনটা মূল কোনটা নয়, ওরাই ঠিক করুক। এ সব করতে করতেই এই মরশুম শেষ হয়ে যাবে।"
এদিকে আজ সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু আগে সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের একটি বৈঠক ডেকেছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে। এই বৈঠকে যোগ দেবে না। এনিয়ে দুই দলের মধ্যে কথার লড়াই চলছে অনবরত। আরও পড়ুন- Coronavirus Cases In India: ৫৪৪ দিনে সর্বনিম্ন অ্য়াক্টিভ রোগী, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৩৬ জন
কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি সংসদের ইতিহাসটাই জানেন না। বিজেপি যখন বিরোধী আসনে ছিল, তখন তারাও বৈঠক ডাকত। এখন কংগ্রেস ডেকেছে। এটাই সংসদীয় রাজনীতির রীতি। উনি সেই রীতিটাকেই অস্বীকার করতে চাইছেন।’’ দিলীপ ঘোযের বিতর্কে জল ঢেলে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘আমাদের দলের একটা বৈঠক আছে। যেখানে আমাদের উপস্থিত থাকতে হবে। তা ছাড়া দিলীপ কী বলছেন, তা নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। বাংলায় ভোটে হারার পর ওরা নিজেদের দলের ব্যর্থতা নিয়ে বরং ভাবুক।’’