সামান্য ডায়ারিয়ায় (Diarrhea) আক্রান্ত হয়ে গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়েছিলেন বছর ৬৪-র মন্দিরা বোস। কিন্তু তাঁর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা হল না। ১৯ ঘন্টা অবজারভেশন ওয়ার্ডে ফেলে রাখার পর অবশেষে মৃত্যু হল তাঁর। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে (Maynaguri Rural Hospital)। রবিবার সকাল থেকেই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীর পরিবার ও পরিজনেরা। ঘটনার খবর পেয়ে হাসাপাতালে চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেই সঙ্গে ঘটনাটি চিকিৎসার গাফিলতিতেই ঘটেছে কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মন্দিরা বোসকে তাঁর পরিবারের লোকজনেরা নিয়ে আসেন। পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে দেখতেই চায়নি। কয়েকঘন্টা পর তাঁকে হাসপাতালেই অবজারভেশন ওয়ার্ডে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওষুধ দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া হয়। এরপর সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে পরিবারের তরফ থেকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে রেফার করার দাবি জানায় পরিবারের সদস্যরা।
এরপর রাত অবধি হাসপাতালেই রাখা হয় ওই প্রৌঢ়াকে। তবে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। আর তারপরেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তোলেন রোগীর পরিবার। যদিও হাসপাতালে পরিকাঠামোগত গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।