Winter (File Photo)

গভীর নিম্নচাপ দানা বেঁধেছে বঙ্গোপসাগরে। ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গল (Cyclone Fengal) আছড়ে পড়তে চলেছে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) এবং পুদুচেরির (Puducherry) উপকূলে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড়ের। ভারতের আবহাওয়া দফতরের তরফে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চল, পুদুচেরি এবং অন্ধ্র প্রদেশে (Andhra Pradesh) বন্যার সম্ভাবনাও রয়েছে। এর ফলে শুক্রবার এবং শনিবার তামিলনাড়ুর সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুদুচেরির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নমাসিভায়ম ঘোষণা করেছেন যে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রবল বৃষ্টির কারণে শুক্রবার এবং শনিবার পুদুচেরি এবং কারাইকালের সমস্ত বেসরকারি এবং সরকারি স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকবে। হওয়া অফিস তামিলনাড়ুতে শুক্রবার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে কমলা সতর্কতা (Orange Alert) জারি করেছে। তবে শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের দাপট অনেক বেশি বাড়বে।

ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গলের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে কতটা পড়বে? রাজ্যে শীতের পথে কি কাঁটা হবে ঘূর্ণিঝড়? কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) অভিমুখ তামিলনাড়ু। ফলে বাংলার উপর তার সরাসরি প্রভাব পড়বে না। তবে সপ্তাহান্তে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গলের (Cyclone Fengal) কারণে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ দুই জায়গাতেই আকাশ ছিল কুয়াশায় ঢাকা। ফলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়বে। ফলে নভেম্বরের শেষে শীতের পথে কাঁটা হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়।

ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গলের (Cyclone Fengal) ফলে মৎস্যজীবীদেও সতর্ক করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকাতে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। এছাড়াও শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ুর উপকূল অঞ্চলেও মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।