কলকাতা ৩১ ডিসেম্বর: ২০২০-র শেষ লগ্নেও গরু পাচার কেসের সুরাহায় কোনওরকম খামতি রাখতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই (CBI raids)। বাদ যায়নি কয়াল পাচার কাণ্ডের তদন্তও। গরু পাচার কাণ্ডের ধৃত এনামুলকে গতকাল বুধবার আসানসোলের আদালতে তোলা হয়। এনামুলের কাছে থাকা ডায়েরিতেই নাকি গরু পাচারের যাবতীয় হিসেব লেখা থাকত। তদন্তে সিপিআই-এর আইনজীবী রাকেশ সিং সেই ডায়েরির কথা তোলেন। আদালতে জানানো হয়েছে, এই ডায়েরিতেই রয়েছে কোটি কোটি টাকার হিসেব। ইতিমধ্যেই সবুজ খামে মুড়ে আদালতের কাছে সেই ডায়েরি জমা করেছে সিবিআই। এদিন এনামূলের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করলে সিবিআই-এর রাকেশ সিং তার বিরোধিতা করেন।
তিনি জানান, ওই ডায়েরিতেই রয়েছে মূল চক্রের হদিশ। কোন খাতে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সব সেখানে নথিবদ্ধ আছে। তাছাড়া সিবিআই যখন এনামুলকে হেফাজতে নিচ্ছে তখন আধিকারিকদের খুনেরও হুমকি দেয় সে। তাই জামিন পেলে প্রভাব খাটিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাটের পাশাপাশি যেকোনও সময় দেশ ছেড়ে পালিয়েও যেতে পারে এনামুল। এতে তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হবে। জানা গিয়েছে, দেশের ২৬ টি ব্যাঙ্কে এনামুলের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেসব সিল করে দিয়েছে সিবিআই। এখন ডায়েরির দিকেই পাখির চোখ কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেঁচো খুঁড়তে না কেউটে বেরিয়ে পড়ে, সেটাই এখন দেখার। আরও পড়ুন-Indian Railways: ১ মিনিটে কাটুন ১০ হাজার টিকিট, পে লেটার; নতুন বছরে ভারতীয় রেলের চমক
এদিকে আজ সকালেই যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের তিনটি বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন সিবিআই কর্তারা। দগত ২৩ জুলাই তাঁকে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদে বসানো হয়। সেই বিনয় মিশ্রর নাম জড়িয়েছে বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডের সঙ্গে। এদিন সকালে সিবিআই কর্তারা বিনয় মিশ্রের তিনটি বাসভবন চেতলার বাড়ি, রাসবিহারী অ্যাভেনিউ-র পিছনে থাকা আরও একটি বাড়ি ও লেকটাউনের ফ্ল্যাট তল্লাশি শুরু করেছেন। কলাকতা প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব মিস্রের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে কী হাল হয়েছিল তা ভোলেনি সিবিআই। তাই বিনয় মিশ্রের বাড়ি ও অন্যান্য জায়গায় তল্লাশির সময় সেখানে আধা সামরিক বাহিনীর পাহারা আরও কড়া হবে। অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে আজ হুগলির কোন্নগরের ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করে সিবিআই। অমিত সিংহ ও নবীন সিংহ নামে ওই দুই ব্যবসায়ীর বাড়ি হানা দিয়েছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। ওই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।