কুলতলিতে নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে ৬২দিনের মাথায় রায় দিল বারুইপুর আদালত। অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন বিচারপতি। আর এই দ্রুততার সঙ্গে রায়দান হওয়ার রাজ্য প্রশাসনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর মতে, এই ধরনের ঘটনায় এত দ্রুত রায়দানের ঘটনা কার্যত গোটা দেশে নজিরবিহীন। আর এইজন্য রাজ্য পুলিশ ও আইন ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। যদিও এই ঘটনার সময় স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্ব এড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর সন্ধ্যার দিকেই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যাওয়া হয়ছিল। অভিযোগ ছিল সেই সময় তৎপরতার সঙ্গে যদি খোঁজাখুজি করা হত তাহলে জীবন্ত অবস্থাতেই পাওয়া যেত তাঁকে।
আর পুলিশের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে সেই সময় মৃতদেহ উদ্ধারের পর বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়েছিল জয়নগর। পরবর্তীকালে দেহ উদ্ধার ও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আর সেই কারণেই ঘটনার একমাসের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করতে পেরেছিল তদন্তকারী আধিকারিকরা। তারপরেই শুক্রবার এই মামলার রায় দেয় বারুইপুর আদালত। অভিযুক্ত মুস্তাকিন সর্দারের বিরুদ্ধে পকসো আইনের অধীনে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। এই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট খুশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি এদিন এক্স হ্যাণ্ডেলে টুইট করে বলেন বলেন, গত ৪ অক্টোবর জয়নগরে যে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, সেই ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্তকে শুক্রবার মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বারুইপুর আদালত। মাত্র দুইমাসের মধ্যে এই ধরনের মামলায় দোষীকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া রাষ্ট্রের কাছে নজিরবিহীন একটি ঘটনা। এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য রাজ্য পুলিশ ও গোটা আইন ব্যবস্থাকে অভিবনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের সরকার মহিলাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ হলেই শূন্য সহনশীলতা এবং ন্যায়বিচার দিতে যাতে বিলম্বিত না হয় সেই বিষয় সুনিশ্চিত করবে।