নবান্ন নয়, আজই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাসভবনে হতে চলেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অচলাবস্থা কাটাতে এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার জন্য সন্ধে ৬টার মধ্যে কালীঘাটের বাড়িতে ১৫ জন সদস্যের প্রতিনিধি দলকে আহ্বান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও চিকিৎসকদের দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল যে ৩০ জনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। ফলে সেই দাবি নিয়েই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান মেলের উত্তরে আন্দোলনকারীরা জানান, ১৫ জন নয়, ৩০ জনই কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন এবং এই ৩০ জনই বৈঠকে থাকবেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা স্বাস্থ্য ভবন থেকে বাসে করে কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে কেন কালীঘাটকে বেছে নেওয়া হল? কারণ তাঁরা আশা করেছিলেন এই বৈঠক নবান্নে হবে।

যদিও এই আহ্বানের পর চিকিৎসকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে তাঁদের যেখানেই ডাকা হবে তাঁরা সেখানে গিয়েই বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। ফলে বৈঠকটাই মূল উদ্দেশ্য এবং তাঁদের দাবিগুলি যেন মানা হয়, সেই বিষয়ে এখনও তাঁরা অনড়। এদিন কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে প্রতিনিধি দলের এক সদস্য জানিয়েছেন. আমাদের দাবি ন্যায্য। সেখান থেকে একচুলও সড়া যাবে না। আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে, ভয় দেখিয়ে কিচ্ছু বোঝানো যাবে না। আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করাতেই হবে।

যদিও এর আগে নবান্নে এই আন্দোলন নবান্নে হওয়ার কথা ছিল। সেই সময়ও প্রতিনিধির সংখ্যা একই রেখেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কিন্তু বৈঠকের লাইভ সম্প্রচার নিয়ে নবান্ন বাধা দেওয়ায় বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারীরা। নবান্ন থেকে ফিরে এসে আবারও তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা কর্মসূচি চালিয়ে যান। সেই ঘটনার পর আজ সকালে আচমকাই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের জন্য আহ্বানও করেন। আর সেই আহ্বানে সারা দিয়ে চিকিৎসকরা কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এখন দেখার তাঁদের ৫ দফা দাবি মানা হয় কিনা এবং চিকিৎসকদের ধরনা কর্মসূচি প্রত্যাহার হয় কিনা।