Citizenship Amendment Bill Protest: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে আগুন জ্বলছে অসমে, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাতিল সমস্ত বিমান
প্লেন (প্রতীকী ছবি: File Image)

কলকাতা, ১২ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (Citizenship Amendment Bill) প্রতিবাদে আগুন জ্বলছে অসম (Assam) ও ত্রিপুরায় (Tripura)। এই পরিস্থিতিতে অসমের ডিব্রুগড়গামী (Dibrugarh) সমস্ত বিমান বাতিল করল কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata Airport) কর্তৃপক্ষ। আজ কলকাতা বিমানবন্দরের তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। লোকসভার পর গতকাল রাজ্যসভাতেও পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশাধনী বিল। বিলের পক্ষে ১২৫টি ভোট পড়ে। বিপক্ষে পড়ে ১০৫টি ভোট। বিল অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে নিপীড়িত হয়ে চলে আসা অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করবে সরকার। এই বিল অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, ও খ্রিস্টানরা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। তবে এই বিলটি অনুযায়ী এদেশে ৬ বছর বসবাস করতে হবে। এবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে (Citizenship Amendment Bill) কেন্দ্র করে আগন জ্বলছে অসম ও ত্রিপুরায়। অসমে ছাত্রছাত্রীরা হাত কেটে রক্ত দিয়ে পোস্টার লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গোটা গুয়াহাটি (Guwahati) যখন কার্ফিউতে মুড়েছে তখন ডিব্রুগড়ে (Dibrugarh) মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের (Chief Minister Sarbananda Sonowal) বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করল প্রতিবাদী জনতার ভিড়। ছাবুয়া ও পানিতোলা রেলস্টেশনে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতির বিচার বিবেচনা করে তিনসুকিয়া ও ডিব্রুগড় রেল স্টেশনে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই ও এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় কয়েক লক্ষ টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে অসমে। সরকারি সম্পত্তিপু ড়িয়ে চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। আরও পড়ুন: Citizenship Amendment Bill: 'হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে অমিত শাহের দাবি অযৌক্তিক এবং অসত্য', কড়া প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের

অসমে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর রেল বনধের ডাক দেওয়ায় আগেভাগেই ভারতীয় রেল ১২টি ট্রেনের যাত্রাপথ বাতিল করে দিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাতটা থেকেই অসমের তিনসুকিয়া, কামরূপ, গোলাঘাট, দিসপুর, ধেমাজি, শিবসাগর, জোরহাট-সহ একাধিক জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নানারকম গুজব ছড়ানোর আশঙ্কায় অসম সরকারের মিনিস্ট্রি অফ হোম অ্যাফেয়ার্স-এর তরেফ জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। আপাতত আগামী ২৪ ঘণ্টা থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। ত্রিপুরাতেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা। আপাতত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে মোট ৫ হাজার আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অসমে এদিন দিসপুর, গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় এবং জোরহাটে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। কয়েকজন মহিলা-সহ আহত হয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক ও টিভি চ্যানেলের কর্মীরাও আছেন।