মুকুল রায় (Photo credit-ANI)

কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর: নারদ তদন্তে (Narada Sting Case) আজ বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে (Mukul Roy) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI)। শুক্রবার সকাল ১১টায় তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃত আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জ়ার (SMH Mirza)মুখোমুখি বসিয়ে মুকুলকে জেরা করতে চায় সিবিআই। যদিও মুকুলের দাবি, তাঁর কাছে CBI-এর কোনও ফোন বা চিঠি আসেনি ৷ তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকলে তিনি যাবেন বলে জানিয়েছেন মুকুল ৷বৃহস্পতিবার এই মামলায় (Narada Case) আইপিএস অফিসার মির্জ়াকে (SMH Mirza) গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে ৫ দিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। নারদ স্টিং (Narada Sting) ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল মির্জ়াকে। কেন তিনি টাকা নিয়েছিলেন। সে বিষয়ে একাধিকবার জেরা করা হয়। সূত্রের খবর, তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

২০১৪ সালে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল ((Mathew Samuel)) ব্যবসায়ী সেজে স্টিং অপারেশন করেছিলেন বলে দাবি করেন। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা ডট কম নামের এক ওয়েবসাইটের স্টিং অপারেশনে রাজ্যের মন্ত্রী-আমলাদের অর্থ নেওয়ার ছবি ধরা পড়ে। মদন মিত্র থেকে ফিরহাদ হাকিম, অপরূপা পোদ্দার-দের মত নেতা-মন্ত্রী-সাংসদের সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপরাশনে টাকা নিতে দেখা যায়। ঘুষ নেওয়ার ভিডিওকে তৃণমূল জাল বলে দাবি করে এলেও পরবর্তীকালে চণ্ডীগড়ের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভিডিওর ফুটেজ খাঁটি। টাকা নিতে দেখা গেছিল এসএমএইচ মির্জ়াকেও। সেই সময় তিনি বর্ধমানের পুলিশ সুপার পদে ছিলেন। ওই ভিডিও থেকেই জানা যায়, মির্জ়া ম্যাথু স্যামুয়েলের (Mathew Samuel) কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের করা এফআইআরে ১২ নম্বরে নাম রয়েছে ওই পুলিশ কর্তার। কেন তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন, কারও নির্দেশে টাকা নিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে তাঁকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পরে তাঁর বয়ান রেকর্ডের পাশাপাশি কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আরও পড়ুন: Narada Sting Case: এসএমএইচ মির্জ়ার ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত

বৃহস্পতিবার নিজা়ম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় মির্জ়াকে। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই জানিয়েছে। এর পর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বিশেষ সিবিআই আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী দীনেশ কুমার বলেন, "মির্জ়ার বক্তব্যে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে। বহু তথ্য তিনি গোপন করছেন। এফআইআরে নাম থাকা অন্য এক অভিযুক্তের সঙ্গে মুখোমুখি জেরা তিনি এড়ানোর চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন।" পালটা জবাবে মির্জ়ার আইনজীবী সায়ন দে বলেন, "আমার মক্কেলকে ৯ বার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল। প্রতিবারই তিনি এসেছিলেন। সিবিআইকে আগাগোড়া সহযোগিতা করেছেন। তিনি এক জন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক। পালিয়ে যাবেন, এমন সম্ভাবনাও নেই। তা হলে হঠাৎ গ্রেফতার করার প্রয়োজন পড়ল কেন?"