Photo Credits: Wikimedia Commons

কলকাতা: উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) ১৭ বছরের নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় (Minor Girl Death) সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে মামলা করেছে মৃতার পরিবার। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসে। সূত্রের খবর, বুধবারই মৃত নাবালিকার বাবা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সঙ্গে দেখা করে সবকিছু খুলে বলেন। এরপরই মামলাটি তিনি শুনবেন বলে জানিয়ে মামলাটি করার অনুমতি দেন বিচারপতি।

গত শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জের একটি পুকুরের ধার থেকে ১৭ বছরের ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উদ্ধারের সময় ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। মেয়েটির মৃতদেহ নিয়ে অবরোধের সময় পুলিশ জোর করে মৃতদেহ ছিনিয়ে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য বলে অভিযোগ। পরে পুলিশকর্মীরা মেয়েটির যেভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় তার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। এই নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বাধ্য হয়ে অভিযুক্ত চার এএসআইকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্তের অনুমতি দেয় প্রশাসন। যদিও এখনও উত্তেজনা রয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা। নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে পথে নামে রাজবংশী, আদিবাসী ও তফসিলি আদিবাসী সমন্বয় কমিটি। পাশাপাশি পথে নামে বিজেপিও। বেলা বাড়তেই তৈরি হয় অশান্তি। ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রথমে আটকাতে যায় পুলিশ। তবে বিক্ষোভকারীরা সেই ব্যারিকেড ভেঙে দেয়। এরপর পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শুরু হয় খন্ডযুদ্ধ। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট-পাথর ও কাঁচের বোতল। বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ার। এরপর আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। কালিয়াগঞ্জ থানার ভেতর আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে থানা।