অবশেষে দিল্লিতে চালু হচ্ছে ডবল ইঞ্জিন সরকার। আপের ঝাড়ু উড়য়ে রাজধানীর ক্ষমতার অলিন্দে আসছে । আর এই জয়ের পরেই মোদী-শাহের পরবর্তী টার্গেট হতে চলেছে বাংলা। ২৬-এর নির্বাচনের আগে এখনও থেকেই সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদাররা (Sukanta Majumdar)। দিল্লির বাঙালি এলাকাগুলিতে প্রার্থীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু-সুকান্তদের। আর তার ফলও পেল এদিন। দিল্লির বাঙালিরা কার্যত ইন্ডিয়া জোটকে ধাক্কা দিয়ে ক্ষমতা থেকে সরাতে সাহায্য করেছে। গ্রেটার কৈলাস, নজফগড়, কারোল বাগ, কালকাজি সহ একাধিক বিধানসভা এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতানেত্রীদের। আর তার ফলও পাওয়া গিয়েছে ফলপ্রকাশের সময়। ওই এলাকাগুলিতে বেশ ভালো ভোটেই এগিয়েছে বিজেপি।

বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া

আর এখান থেকেই ২৬-এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে সুকান্তরা। এদিন দিল্লির বাসভবন থেকে সুকান্ত জয়ের উল্লাসে মেতেছেন। কর্মী সমর্থকদের মিষ্টি খাওয়াতে খাওয়াতে তিনি বলেন, "দিল্লির মানুষ মোদীজির ওপর আশা রেখেছেন, তাই এই জয়। বাংলাতেও আগামী দিনে এই বদল আসবে"। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এখন বাংলাতেই রয়েছেন। এদিন মহিষাদলে দলীয় প্রচারে তিনি বলেন, "সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর তাতেই বাংলায় পরিবর্তন আসবে"। আসানসোলে দিল্লিতে বিজেপির জয় নিয়ে বিজয় উৎসব পালন করছে অগ্নিমিত্রা পাল। বঙ্গ বিজেপি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দেয়, "দিল্লিতে বিদায় হল আপ, এবার যাবে পশ্চিমবঙ্গের পাপ"।

দিল্লিতে বাসভবনে উৎসবের মেজাজে সুকান্ত মজুমদার

দেখুন কুণাল ঘোষের পোস্ট

চিন্তিত নন কুণাল

যদিও দিল্লির জয় নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ লেখেন, "২৬-এ বাংলায় ২৫০-এর বেশি আসনে জয় পাবে তৃণমূল। চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি কোথায় কী হল, আমাদের বিষয় নয়। দিল্লির বিষয় দিল্লিতে। এখানে কোনো মন্তব্য নেই। বাংলায় ওসবের প্রভাবও নেই"।