জলকষ্টে ভুগতে শুরু করেছে পাকিস্তান। সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Waters Treaty) স্থগিত করার পর থেকে একের পর এক বাধ বন্ধ করে দিচ্ছে ভারত সরকার। যার ফলে এই গরমে নাজেহাল অবস্থা পাকিস্তানের। ইতিমধ্যেই ভারতের কাছে আকুতি মিনতি শুরু করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। যদিও পহেলগাম হামলা্র পরে যে ঘটনাগুলি বিগত সপ্তাহ পর্যন্ত হয়েছে, তারপর নয়াদিল্লি পক্ষ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, জল এবং রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। ফলে আগামীদিনে বড়সড় সমস্যায় ভুগতে চলেছে পাকিস্তান, তা এখন থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছে।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক

এদিকে বিগত কয়েকমাসে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানির দিকে যাচ্ছে। সেদেশে আমজনতার একাংশ থেকে শুরু করে নেতামন্ত্রীরা ভারতবিরোধী মন্তব্য করে বসছেন। এমনকী বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরেও অত্যাচার বাড়িয়েছে ইউনূস সরকার। তবে বিগত কয়েকদিনে পাকিস্তানের যে অবস্থা ভারত করে ছেড়েছে, তাতে কিছুটা হলেও ভয় পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এদিকে এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতারাও বাংলাদেশের স্বভাব নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছে।

দেখুন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

বুধবার সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই নিয়ে আমার বিশেষ জ্ঞান নেই। তবে পাকিস্তানও যেমন ভারতের জলের ওপর নির্ভরশীল, তেমন বাংলাদেশও তিস্তা, ফারাক্কা নদীর জলের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ফলে জল বন্ধ করলে পড়শি দেশ তো সমস্যায় পড়বে। তবে এই ব্যাপারে আমি বিস্তারিত আলোচনা করতে পারব না। এই নিয়ে আগামীদিনে কেন্দ্র সরকার, অন্যদিকে পাকিস্তান সরকারও মন্তব্য করবে”।