প্রতীকী ছবি (File Image)

ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমশ বাড়ছে অত্যাচার। রেয়াত করা হচ্ছে না ইসকন সন্ন্যাসীদেরও। ইতিমধ্যেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সহ একাধিক সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তারপরেই ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরেছে। এই দেশেও প্রতিনিয়ত প্রতিবাদ চলছেই। এবার এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকায় (Dhaka) গিয়ে কিছু মানুষের হাতে আক্রান্ত হলেন বেলঘরিয়ার এক যুবক। জানা যাচ্ছে, গত ২৩ নভেম্বর ঢাকায় বন্ধুদের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন সায়ন ঘোষ নামে ওই যুবক। ২৬ নভেম্বর ফেরার কথা ছিল তাঁর।

এরমধ্যে গত ২৫ নভেম্বর তাঁর সঙ্গে ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। জানা যাচ্ছে, বেলঘরিয়ার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেশপ্রিয় নগর এলাকার বাসিন্দা সায়ন গত বুধবার ঢাকায় বন্ধুর সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েকজন ব্যক্তি। তাঁরা তাঁকে নাম, কোথা থেকে এসেছে এই বিষয়ে জানতে শুরু করে। সেই সময় তিনি যখনই ভারতের নাগরিক বলেন, তখনই তাঁর ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মাটিতে ফেলে লাঠি, ইট, পাথর দিয়ে মারধর করে। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় দোকানী, এলাকাবাসীরা কার্যত নিরব দর্শক হয়ে বিষয়টি দেখেন।

তখন তাঁর সেই বন্ধুই কোনওমতে তাঁকে উদ্ধার করে। তবে আততায়ীরা হুশিয়ারি দেয় যে কোথাও কোনওরকম অভিযোগ জানালে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। যদিও সায়নকে নিয়ে তাঁর বন্ধু স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু সেখানে তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। এমনকী আহত অবস্থাতেও বিভিন্ন হাসপাতাল তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। এরপর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গেদে সীমান্তের চেকপোস্ট হয়ে বাড়ি ফেরে সে। অভিযোগ, ওই হামলার মধ্যে তাঁর ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।

ভারতে এসে অবশ্য কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনে অভিযোগ জানায়। এমনকী ভারতে ঢুকে চেকপোস্টেও লিখিত অভিযোগ জানায় সে। তবে এখনও তাঁর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ রয়েছে। এখনও তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।