রোগীমৃত্যু ঘিরে শুক্রবার রাতে উত্তপ্ত হয় বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল (Behala Vidyasagar State General Hospital)। মারধর করা হয় নার্সদের। নষ্ট করা হয় একাধিক ওষুধ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম। আতঙ্কে একাধিক রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজনেরা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক করা হয় কমপক্ষে ২২ জনকে। ঘটনার পর থমথমে হাসপাতাল ও তার আশেপাশের এলাকা। জানা যাচ্ছে, এদিন সন্ধ্যায় ঠাকরপুর নিবাসী এক হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনেরা হাসপাতালে আসে।
সূত্রের খবর, ৮টা ২০ নাগাদ বছর ৩০-এর শেখ মেহমুদ আলমকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। ফলে তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ৮টা ৫০ নাগাদ তাঁর মৃত্যু ঘটে। ৯টা নাগাদ হাসপাতালে তরফ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। সেই সময় রোগীর পরিবারের সঙ্গে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। এরপর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ হাসপাতাল চত্বরে জমায়েত হয় কয়েকশো মানুষ। প্রথমে তাঁরা মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্সে তোলে। তারপর শুরু হয় বচসা।
অভিযোগ, প্রথমে ভিজিটিং গেটে ভাঙচুর চালায়। তারপর সেই ভিড় ঢুকে যায় এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে। এরপর সেখানে চলে তাণ্ডবলীলা। আতঙ্কে বাকি রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এমনকী মেল অবজার্ভেশন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন মহিলা। তাঁরা ওষুধের শিশি, ইনজেকশন মাটিতে ফেলে। নষ্ট করা হয় টেবিল, চেয়ার। এমনকী নার্সদের মারধর করে তাঁরা। এরমধ্যে একজন নার্স ভয়ে বাথরুমে ঢুকে যায়। তাঁকে সেখানেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমকী নার্সদের পোশাকও ছিড়ে ফেলা হয়।
ঘটনার খবর যায় পর্ণশ্রী থানায়। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এমনকী কমপক্ষে ২২ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।