বকুল টুডু ও তার মেয়ে

পূর্ব বর্ধমান, ১ অক্টোবর: বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে (Fever) ভুগছিল গ্রামের কয়েকজন। যার কারণ খুঁজতেই গ্রামবাসী (Villegers) সন্দেহের নজরে এসে পড়ে, এর পিছনে নাকি হাত রয়েছে গ্রামেরই এক গৃহবধূ বকুল টুডুর (Bakul Tudu)। তড়িঘড়ি বসানো হয় সালিশি সভা (Arbitration Meeting)। ডেকে পাঠানো হয় ওই গৃহবধূ বকুল টুডুকে। আর তারপরেই গ্রামের যুবকরা মিলে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে গৃহবধূকে। ঘটনা কালনার ভৈরবনালা গ্রামের (Kalna's Vairabnala Villege)। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই উত্তেজনার ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গুরুতর আহত বকুল ও তার মেয়েকে ভর্তি করা হয় কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Kalna Super Speciality Hospital)।

ঘটনা সোমবার রাতের। এদিনই গ্রামের মোড়ল মঙ্গল টুড়ু অভিযোগকারীদের এবং বকুল - উভয়পক্ষকে ডেকে সালিশির ব্যবস্থা করেন। অভিযোগকারীদের বক্তব্য বকুল ডাইনি। বকুলের জন্যই গ্রামে রোগ (Disease) ঢুকেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সভা চলাকালীন বকুলকে অকথ্য গালিগালাজ দিতে থাকেন অভিযোগকারী যুবকেরা। উত্তেজনা এতটাই চরমে পৌঁছায় যে বকুলকে ধরে মারধর শুরু করে (Beaten Up) অভিযুক্ত যুবকরা। যাদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন মহিলাও। এমনকি বকুলকে বাঁচতে গিয়ে মার খান তাঁর একমাত্র কন্যাও (Daughter)। আরও পড়ুন- Rajeev Kumar: শতর্সাপেক্ষে আগাম জামিন মঞ্জুর রাজীব কুমারের, হাইকোর্টে ধাক্কা খেল CBI

ডাইনি বলে কিছু নেই জানিয়ে প্রতিবাদ জানান মেমারি কলেজের এক ছাত্রীও (College Student)। তাকেও বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত যুবকরা। ঘটনা চরমে পৌঁছাতেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে (Police)। কালনা থানার পুলিস গ্রামে এলেও অভিযুক্ত যুবকদের কোনও খোঁজ তারা পায়নি।

(২৪ ঘণ্টা চ্যানেলে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী)