TMC: বিজেপির প্রথম গড়েও এবার বড় ভাঙন, বাবুল সুপ্রিয়র আসানসোলে বিজেপির ৩ হাজার নেতা-কর্মী তৃণমূলে
বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Photo Credit: Twitter)

আসানসোল,২৭ জুন: পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড রাজনীতি বাদ দিলে বাংলায় বিজেপি (West Bengal)-র শক্তিশালী হওয়ার শুরুটা হয়েছিল আসানসোল (Asansol) থেকেই। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশে প্রথমবার নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ক্ষমতায় আসার সময়, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে দার্জিলিং (Darjeeling) আসনে জেতাটা বাদ দিলে, আসানসোল লোকসভাতেই শুধু জিতেছিল বিজেপি  সেই আসানসোলে বিজয়যাত্রা থেকেই সাত বছরের মধ্যে বাংলায় প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে পদ্ম শিবির। আরও পড়ুন: পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রিক্সা টেনে প্রতিবাদ মদন মিত্রের, দেখুন

২০১৪ লোকসভায় বিজেপি বাংলার সর্বত্র হারলেও এই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের দোলা সেন (Dola Sen)-কে হারিয়ে জিতেছিলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। বাবুলের জয়ের পর আসানসোলে সংগঠন দারুণভাবে বাড়িয়ে নেয় বিজেপি। ফলে ২০১৯ লোকসভায় তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মুনুমন সেনকে ধরাশায়ী করে জেতেন বাবুল।  কিন্তু যে সংগঠনের জন্য বড় জয় পেয়েছিলেন বাবুল, সেই সংগঠনের বড় ভাঙল ধরল।

বাংলায় বিজেপির সেই প্রথম গড়েই এবার বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় গড় আসানসোলে একঝাঁক নেতা-কর্মী যোগ দিল তৃণমূলে। একটা সময় বিজেপি-র আসানসোলের জেলা সম্পাদক পদে থাকা মদনমোহন চৌবে তৃণমূলে যোগ দিলেন। রবিবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা-বিধায়ক-মন্ত্রী মলয় ঘটক তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। মদনমোহনের সঙ্গে বিজেপি ছেড়েছেন তাঁর বহু সমর্থক-অনুগামীও। আসানসোলের তৃণমূল নেতাদের দাবি, রবিবার জোড়া ফুলে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের ৩৯টি শাখা সংগঠনের নেতা। আর কর্মী-সমর্থক ধরলে রবিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের সংখ্যাটা সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজারের বেশি বলেই দিদির দলের দাবি।

কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এটাই পদ্মশিবিরে সবচেয়ে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এ বিজেপির ভরাডুবির পর মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে পুরনো দলে ফেরার পর থেকেই জেলায় জেলায় ফুল বদলের হিড়িক এসেছে। তার আগে অবশ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসরা দিদির কাছে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলে ফেরার আবেদন জানান। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা, সরলা মুর্মু-রাও তৃণমূলে ফিরতে আবেদন করেছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমজুড়ে বিজেপির টিকিটে বড় ব্যবধানে হারা রাজীব ব্যানার্জিও ফেসবুকে তৃণমূল নিয়ে নরম মনোভাব দেখিয়েছেন।