কলকাতা, ৬ মে: কাশীপুরে বিজেপির যুব নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার (Arjun Chowrasia) মৃত্যুর পর বিক্ষোভ শুরু হয়। অর্জুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতেদহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কাশীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অতীন ঘোষ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে অতীন ঘোষ বলেন, যখন কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়, তখন পুলিশ সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এটা স্বাভাবিক পদ্ধতি। কিন্তু অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃতদেহ উদ্ধারে বাধা দেন কিছু মানুষ। নোংরা রাজনীতির জেরেই অর্জুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্ত করতে পাঠানোয় বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন অতীন ঘোষ (Atin Ghosh)। শুধু তাই নয়, অর্জুন চৌরাশিয়ার মৃতদেহ উদ্ধারে পুলিশকে যাঁরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাঁরা বহিরাগত বলে দাবি করেন অতীন ঘোষ।
এদিকে অর্জুনের মৃত্যুর পর শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপ অভিযযোগ করেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খুন করা হয় অর্জুন চৌরাসিয়াকে। রাজ্যে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ভয় দেখাতেই যুবনেতাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। গত বছর ২ মে অভিজিৎ নামে বিজেপির (BJP) এক কর্মীকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ করেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি। সেই থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যে বিজেপির ৬০ জন কর্মী, সমর্থককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। একের পর এক বিজেপি কর্মী, সমর্থক খুন হলেও, সে বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পেশ করা হয়নি কোনও চার্জশিট।
সিবিআই ছাড়া এই সমস্যার সমাধান কেউ করতে পারবে না বলে সুর চড়ান দিলীপ ঘোষ।