COVID-19 Deaths In West Bengal: ফের একজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু রাজ্যে,  সংখ্যাটা এবার ২
Representational Image | (Photo Credits: PTI)

শিলিগুড়ি, ৩০ মার্চ: রাজ্যে (West Bengal) ফের করোনায় মৃত্যু ঘটল এক জনের। এনিয়ে মারণ ভাইরাসের গ্রাসে প্রাণ হারালেন দুজন। মৃত মহিলা কালিম্পংয়ের বাসিন্দা। রবিবার রাত দুটো নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বছর ৪৪-এর ওই মহিলা গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃতার মেয়ে ও চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার জন্য চেন্নাইতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। গত ১৬ মার্চ সেখান থেকে ফিরে আসেন কালিম্পংয়ের বাড়িতে। তারপরেই তিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকার চিকিৎসকই প্রথমে তাঁকে দেখছিলেন। তবে দিনে দিনে অসুস্থতা বাড়তে। সঙ্গে শুরু হয় তীব্র শ্বাসকষ্ট।

এই পরিস্থিতিতে গত ২৫ মার্চ তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে লালারস বেলেঘাটা নাইসেডে পাঠালে পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত। তবে ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। গতকাল রাত দুটো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে রাজ্যে ফের করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল। রবিবার রাত দশটা নাগাদ। আক্রান্তের বাড়ি হুগলির শেওড়াফুলিতে। তাঁর বয়স ৫৯ বছর। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন গত ২৮ তারিখ। রবিবার তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ মিলতেই লালারস পাঠানো হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি-তে। সেখানেই পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন ওই প্রৌঢ় কোভিড-১৯ পজিটিভ। এনিয়ে রবিবার রাজ্যে তিনজনের শরীরে মিলল মারণ রোগের জীবাণু। বছর ৬৬-র এক বৃদ্ধ রয়েছে এই তালিকায়। সঙ্গে একজন চিকিৎসক। যিনি এতদিন করোনা মোকাবিলায় একবারে সামনে থেকে রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছিলেন। এই প্রথম রাজ্যে কোনও চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আরও পড়ুন- Coronavirus Outbreak In West Bengal: একদিনে ৩ জন, করোনাভাইরাসের গ্রাসে এবার শেওড়াফুলির প্রৌঢ়

উল্লেখ্য, শেওড়াফুলির ওই ব্যক্তি কীকরে মারণ রোগে আক্রান্ত হলেন তা নিয়ে ধন্দে প্রশাসন। তবে পরিবার সূত্রের খবর, দুর্গাপুরে অফিস হওয়ায় তাঁকে ট্রেনেই যাতায়াত করতে হয়েছে। গত ১৬ মার্চ প্রথম জ্বর আসে তাঁর। সঙ্গে শ্বাসকষ্টও শুরু হয়েছিল। তখনকার মতো ওষুধ খাওয়ার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর ২৮ মার্চ ফের অসু্স্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজন আর দেরি করেননি। দ্রুত তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই লালারস পরীক্ষার পর প্রমাণ মেলে মারণ রোগে আক্রান্ত ওই বৃদ্ধ।