The Great Banyan Tree In Kolkata: আড়াই দশকে আম্ফান-সহ তিনটে বড় ঘূর্ণিঝড় সামলে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ২৫০ বছরের বট গাছ
Photo Source: Facebook

কলকাতা, ২২ মে: আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে (Amphan Cyclone) তছনছ হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden Kolkata)। দামী দামী গাছ উপড়ে পড়েছে মাটি থেকে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বোটানিক্যাল গার্ডেনের (Botanical Garden) পরিস্থিতি এককথায় ভয়ঙ্কর। ধ্বংস হয়েছে একাধিক ভেষজ উদ্ভিদ। যা আর সম্ভব নয় পুনরুদ্ধার করা। তবে এই ধ্বংসলীলার মধ্যেও প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য রয়েছে কিছুটা হলেও খুশির খবর। আড়াই শতক অর্থাৎ ২৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে অবলীলায় সামলে দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি (The Great Banyan Tree)। আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ও পারেনি তাকে পুরোপুরি টলাতে।

কমবেশী ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝড় বয়ে যায় কলকাতার উপর দিয়ে। কলকাতার অদূরেই হাওড়ার এই গার্ডেন দেশি কিংবা বিদেশী পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা। আর মূল আকর্ষণ দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি। প্রবল গতিতে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়ের জেরে শতাব্দীপ্রাচীন গাছের বেশ কিছু অংশ উপড়ে গেছে। মূলত গাছের পুরনো কিছু গুঁড়ি। কিন্তু গাছের বেশিরভাগ অংশটাই দাঁড়িয়ে রয়েছে মাথা উঁচু করে। তবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে ঠিক। বেশ কিছু ভেষজ উদ্ভিদ একেবারে গোড়া থেকে উপড়ে গিয়েছে। বি-গার্ডেনের ভিতরেই সারি দিয়ে দাঁড়া করানো মেহগিনি গাছ উপড়ে পড়ে রয়েছে। দেশি বিদেশী বহু দুষ্প্রাপ্য গাছ পড়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে বি-গার্ডেনের পরিস্থিতি এককথায় ভয়ঙ্কর। ঠিক কতটা পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বি-গার্ডেনের, তা হিসেব-নিকেশ করতে ৩-৪দিন সময় লাগবে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিশেষ বৈঠক হয়। কত বছরের পুরনো ও কত গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার তালিকা তৈরি হবে প্রাথমিকভাবে। পাশাপাশি নষ্ট হয়ে যাওয়া গাছগুলিকে সরিয়ে সেখানে সম প্রজাতির নতুন গাছ লাগানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আরও পড়ুন: Pakistan International Airlines Flight Crashes: ১০৭ জন যাত্রী নিয়ে করাচিতে ভেঙে পড়ল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমান 

তবে বেশ কিছু গাছের সামান্য ক্ষতি হয়েছে সেগুলি যথাযথভাবে পুনরূদ্ধার করা যাবে বলে জানাচ্ছেন বি-গার্ডেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে বাংলার গর্ব শতাব্দীপ্রাচীন বট গাছ ২৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঠায়। যদিও গাছের বেশ কিছু বড় গুঁড়ি উপড়ে পড়েছে, তবু তা সামলে নিয়েছে বট গাছটি। প্রায় ৪.৬৭ একর জমি জুড়ে গাছটি তার শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে। গাছটি গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সম উচ্চতার বলে দাবি করা হয়। ১৪০০ প্রজাতির ১৭ হাজার গাছ রয়েছে এই বাগানে। ১৭৮৭ সালে কর্নেল রবার্ট কিড নামে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানির এক সেনা আধিকারিক এই গার্ডেনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার পছন্দের তালিকায় জায়গা পেয়েছিল এই উদ্যানটি। তখন এই উদ্যানটির নাম ছিল রয়্যাল বেঙ্গল বোটানিক্যাল গার্ডেন। ২০০৯ সালের ২৫ জুন বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর জন্মসাধশতবর্ষ উপলক্ষে এই উদ্যানের নাম রাখা হয় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন।