কলকাতা হাইকোর্ট (File Photo/Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৪ এপ্রিল: ভোট বাংলায় করোনা যেন হুমকির পর হুমকি দিয়ে চলেছে। গতকাল সারাদিনে দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন। পিছিয়ে নেই রাজ্যও। সমস্ত পুরোনো রেকর্ডকে ভেঙে দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করোনা সংক্রামিতর সংখ্যা  ৪ হাজার ৮১৭ জন। কলকাতায় সংখ্যা ১ হাজার ২৭৮ জন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে কে? আদালতের হস্তক্ষেপে চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে (Kolkata High Court)। সেই মামলার প্রেক্ষিতে জেলাশাসক ও কমিশনকে ভোটের জমায়েতে নিয়ন্ত্রণের 'দায়িত্ব' দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জনসভায় সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হল। দেশে দিনের পর দিন করোনা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: করোনার গ্রাসে ভারত, ১ দিনে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন

আর পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু বিধানসভা নির্বাচন চলছে তাই ভোটই এখন ধ্যান জ্ঞান। করোনার সংক্রমণ নিয় সেখানে মাথা ঘামানোর সময় কারোর নেই। প্রতিদিন চলছে প্রচার, রোড শো। লাখো লাখো জনতা সেখানে ভিড় করছে। হাতে কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা শোভা পেলেও মুখে কারোর মাস্ক নেই। আর জোট বেঁধে ভোটযজ্ঞে নেমে পড়ায় কোভিড রুলের মূল নীতি সামাজিক দূরত্ব বিধি শিকেয় উঠেছে। কেউ কোনও নিয়ম মানছেন না। ফলে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার প্রতিদিন অবিশ্বাস্যজনক ভাবে বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কী করে করা হবে? এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। তারই একটির শুনানিতে প্রধানমন্ত্রীর ডিভিশনবেঞ্চ রায় দেয়, মিটিং মিছিল ভোট যজ্ঞে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মূল ভূমিকা নিতে হবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ও সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসককে।

করোনা রুখতে বড়সড় লকডাউন রাজ্যে হবে না। তবে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হতে পারে। যে বাড়িতে এক সঙ্গে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হবেন, সেই বাড়িকেই মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করে দেওয়া হবে বলে খবর।