কলকাতা, ১৩ জানুয়ারি: আর্থিক তছরূপের মামলায় দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার অ্যালকেমিস্টের কর্ণধার প্রাক্তন সাংসদ কেডি সিং (KD Singh arrested)। তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগতকে নিয়ে এসে সাংসদ করিয়েছিল, এমন অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। গতকাল কেডি সিংকে দিল্লিতে ইডির দপ্তরে সাড়ে ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে চলে। পরে তাঁর বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি মেলায় আজ ফের তাঁকে জেরা করা হয়। এর পরেই সিবিআই কেডি সিংকে গ্রেপ্তার করল। সারদা, রোজভ্যালির আর্থিক দুর্নীতির সময়েই অ্যালকেমিস্টের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে অনেক দিনেই ইডির নজরে ছিলেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদ। এখন তৃণমূল কেডি সিংকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। একদিন মাননীয়া তাঁকে আদর করে বাংলার রাজনীতিতে নিয়ে এসেছিলেন, মুখ খুললেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
এই প্রসঙ্গে সৌগত রায় বললেন, শমীক ভট্টাচার্য কী বলছে তাতে আমরা মাথা ঘামাই না। কেডি সিং যখন আমাদের রাজনীতিতে ছিল তখন পশ্চিমবাংলার রাজ্য রাজনীতিতে কোনও ভূমিকা পালন করেননি। যা এখন বিজেপির বহিরাগতরা করছেন। আর বহুদিন কেডি সিংয়ের পার্টির যোগাযোগ নেই। ইডি সূত্রের খবর, ২৩৯ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে অ্যালকেমিস্টের কর্ণধারের বিরুদ্ধে। বাজার থেকে অন্যায় ভাবে টাকা ১ হাজার কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। সারদা বা রোজভ্যালির মতোই এই সংস্থাও আমানতকারীকে জমা অর্থের দ্বিগুণ টাকা খুব তাড়াতাড়ি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সারদা, রোজভ্যালি কাণ্ড, ফাঁস হওয়ার পরেই অ্যালকেমিস্টের উপরে নজর পড়ে ইডির। এদিন প্রিভেনশন অ্যান্ড করাপশন অ্যাক্টে অ্যালকেমিস্টের কর্ণধারকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। নারদা স্টিং অপারেশনের নেপথ্যে থাকা ম্যাথু স্যামুয়েলও কেডি সিংয়ের। আরওপড়ুন-Uttar Pradesh Shocker: বিবাহিত বোনকে ধর্ষণ মদ্যপ দাদার, ঘটনাদৃশ্যের ভিডিও তুলে চলল লাগাতার ব্ল্যাকমেল
এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেছেন, মুকুল রায় তৃণমূলনেত্রীক ভুল বুঝিয়ে কেডি সিংকে পার্টিতে নিয়ে এসেছিল। এর জন্য তৃণমূলের তৎকালীন নেতা মুকুল রায় দায়ী। নারদা, সারদা, অ্যালকেমিস্ট থেকে বাঁচতে বিজেপির কোলে বসে দোল খাচ্ছে মুকুল রায়। তাই কেডি সিংকে গ্রেপ্তার করলে খুব শিগগির মুকুল রায়কেও গ্রেপ্তার করা উচিত। কেডি সিং-কে অন্যায়ের সহযোগিতা করার অভিযোগে মুকুল রায়কেও গ্রেপ্তার করতে হবে।