কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর: বিজেপির নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) ঘিরে সড়গরম রাজ্যরাজনীতি। নবান্নে পৌঁছানোর আগেই কলকাতার রাজপথে বিজেপিকে রুখে দিতে পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়েছে শহর। এদিকে যেই না খবর পাওয়া গেল কলেজ স্কয়্যার থেকে মিছিল নিয়ে কলেজস্ট্রিট মোড় হয়ে এমজি রোড ধরে আরও একটা মিছিল এগোবে বড় বাজারের দিকে। যার নেতৃত্বে থাকছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। খবর পাওয়া মাত্রই গোটা পথ জুড়ে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা দলীয় পতাকায় রাস্তা ভরিয়ে দিয়েছে। আরও পড়ুন-BJP’s Nabanna Abhijan: আজ সাংগঠনিক শক্তিপরীক্ষা বিজেপির, নবান্ন অভিযান রুখতে তৈরি পুলিশ প্রশাসন
অন্যদিকে মিছিলের পথরোধ করতে হাওড়া ব্রিজই বন্ধ করে দিল পুলিশ প্রশাসন। এর জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এই খবর শুনে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “ যত দিন যাচ্ছে, সরকারের মনোবল কমে যাচ্ছে। তাই পুলিশের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এর আগে বহু বছর বাংলায় এত বড় বিরোধীশক্তি ছিল না। সেটা বিজেপি করে দেখিয়েছে। বাংলায় এত বড় দুর্নীতিও হয়নি আগে। বাংলার মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে কোটি কোটি টাকা দেখে। তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে, নির্বাচিত বিরোধী দল হিসেবে এর বিরোধিতায় নেমেছি। সব দুর্নীতির আখড়া হচ্ছে নবান্ন। তাই নবান্ন অভিযানে যাচ্ছি। কলকাতায় হাওড়ায় মানুষ চলে এলে আটকাতে পারবে না জানে।”
পড়ুন টুইট
West Bengal | Police put up heavy barricading at Hastings near state government's new Secretariat in Kolkata ahead of BJP's Nabanna Chalo march https://t.co/jmotBSVjlY pic.twitter.com/RDL144e5wj
— ANI (@ANI) September 13, 2022
হাওড়া ব্রিজ পুলিশ রুদ্ধ করলেও হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে জেলা থেকে আসা বিজেপি কর্মীদের জন্য খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত হয়েছে। চলছে রান্নাবান্না। ডালভাত সবজি দিয়েই জেলার কর্মীদের সেখানে আপ্যায়ণ চলছে।
তবে নবান্ন অভিযান ঘিরে পুলিশি তৎপরতায় যারপরনাই অবাক দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি যে, বাংলায় এত পুলিশ এল কোথা থেকে! ঠেলাগাড়ি, গরুর গাড়ি গেলে পুলিশ দেখা যায় না। অশান্তি হলে, বোম পড়লে বলে থানায় পুলিশ নেই। এফআইআর লেখাতে গেলেও পুলিশ থাকে না। ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে আমাদের ঠেকাতে পুলিশ আনতে হল নাকি! এত পুলিশ থাকলে বাংলায় এত অপরাধ হচ্ছে কী করে!”