দিলীপ ঘোষ (Photo Credit: ANI)

কলকাতা, ৩০ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (anti CAA protest), ও  এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত গোটা দেশ। এরই মধ্যে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মানুষ আর তাঁদের কথা শুনছে না, ধর্মের সিরাপ বেশিক্ষণ গেলানো যাচ্ছে না। চারদিকে প্রতিরোধ বিরোধিতা দেখে ফের মেজাজ হারালেন দিলীপ ঘোষ, ‘সিএএ ও এনআরসি-র বিরোধিতা করলে এবার লাশ গুনতে হবে।’ রাজ্য নেতৃত্বের সভায় বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হুমকি দিলেন দিলীপবাবু। এদিন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখ। এদিনের বৈঠক থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও তোপ দাগেন, "সিএএ নিয়ে কোনও বিতর্ক হচ্ছে না। বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। সংবিধান আক্রান্ত হচ্ছে। এনআরসি কোথায় হবে, কখন হবে, তার ঠিক নেই। কিন্তু বিরোধীরা এই নিয়ে হইচই করছে।"

বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, এনআরসি-সিএএ বিরোধিতায় মিছিল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যখন সিএবি-র উপর ভোটাভুটি হল, তখন তৃণমূলের ৮ জন সাংসদ কোথায় ছিলেন? কেন তাঁরা বিল পাসের সময় সংসদে ছিলেন না? প্রশ্ন তোলেন তিনি। তোপ দাগেন,"একসময় লোকসভায় স্পিকারকে কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন, আর তিনি-ই আজ উল্টোকথা বলছেন!মমতার আসল চরিত্র প্রকাশ করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভেদ সৃষ্টি করেন। আগে ছিল অটলজি ভালো, আদবানিজি খারাপ! পরে আদবানিজি ভালো, মোদী খারাপ! এখন মোদী ভালো, অমিত শাহ খারাপ! মুখ্যমন্ত্রীর এই দ্বিচারী রাজনীতি মানুষের কাছে তুলে ধরুন।" আরও পড়ুন-Maharashtra Cabinet Expansion Today: আজ মহারাষ্ট্রে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ, উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে অজিত পাওয়ার, মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন আদিত্য ঠাকরে

সোমবার দলীয় সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিরোধীদের বলছি, সারা দেশে লাশ গুনতে হবে আপনাদের।" এখানেই না থেমে দিলীপ ঘোষ তারপর আরও বলেন "যেখানে যেখানে আমাদের দলের সরকার আছে, সেখানে আন্দোলনের নামে সমাজবিরোধীমূলক কাজ চলছে। এখন সমাজবিরোধীদের যেভাবে শায়েস্তা করা দরকার, সেইভাবেই শায়েস্তা করা হচ্ছে।" বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে যোগীর রাজ্যে বিক্ষুব্ধদের উপরে ঠিক কি ধনের অত্যাচার অনাচার চলছে তা মানুষ জেনে গিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতায় কোনও সমাবেশ হলে সরকারের তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যোগী হুমকি দিয়ে তা করিয়ে দেখিয়েছেন ইতিমধ্যেই।