মহামারী করোনা(Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ২৯ মার্চ: এবার আলিপুরের সেনা হাসপাতালে (alipore command hospital) কর্মরত এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে (COVID19) আক্রান্ত। সেনা সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কম্যান্ড হাসপাতালের এক অ্যানাস্থেশিওলজিস্ট। জানা গছে, দিল্লি থেকে ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন চিকিৎসক। জানা যাচ্ছে, ওই চিকিৎসককে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁর সহকর্মীদের জন্যও সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এদিকে আরও একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই রাজ্যে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেড়ে হল ২০। আজ আরও এক সেনা কর্মীর শরীরে মারণ ভাইরাস পাওয়া গেছে। দেরাদুনে কর্মরত এক জুনিয়র কমিশন্ডও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে কলকাতায় (Kolkata) প্রথম করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয় লন্ডন (London)  ফেরত এক তরুণ। বাবা চিকিৎসক এবং মা নবান্নের আমলা। লন্ডন থেকে ফিরে এলে তাঁকে বিমানবন্দর থেকে একবার বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে যেখানে সেখানে ঘুরে বেরিয়েছে। অমন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করার জন্য রাজ্যবাসীর রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। জানা গেছে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ডাক্তারদের চিকিৎসায় সেরে উঠছেন সেই আক্রান্ত তরুণ। আরও পড়ুন: Coronavirus in West Bengal: তেহট্টের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে ট্রেন সফর, আইসোলেশনে CRPF-র মহিলা কনস্টেবল

১৭ মার্চ করোনা ধরা পড়ার পর তাঁর চিকিৎসা চলছিল বেলেঘাটা আইডি'তে। সেই চিকিৎসার পর শনিবার তাঁর সোয়াব নমুনা পাঠানো হয়েছিল নাইসেডে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে, একটা রিপোর্টেই থেমে থাকবেন না চিকিৎসকরা। ফের রবিবার তাঁর নমুনা পাঠানো হবে নাইসেডে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে নিয়ম মোতাবেক তারপর তাঁকে হাসপাতালেই ১৪ দিন কোয়ারানটিনে রাখা হবে। তারপর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। মমতা ব্যানার্জি এবিষয়ে জানান,"নাম না করে বলেছিলেন, 'প্রভাবশালী ভিভিআইপি থেকে আমজনতা- রাজ্যের প্রতিটি মানুষকেই এই প্রোটোকল মানতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সঙ্গে কোয়ারান্টিনে যেতেই হবে।' মুখ্যমন্ত্রীর মতো রাজ্যের মানুষও ওই ঘটনায় বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। যাঁর মা আমলা এবং বাবা চিকিৎসক-সেই পরিবার এমন একটি কাজ করল কী করে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সকলেই।