স্ট্র্যান্ড রোডে রেলভবনে আগুন(Photo Credits: Social Media)

কলকাতা, ৯ মার্চ: ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্বরেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের আগুন (Strand Road Fire) নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গতকাল ২টি লিফটে আটকে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এদের মধ্যে রয়েছেন রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম মন্ডল, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জয় সাহানি, ৪ দমকল কর্মী গিরিশ দে, গৌরব বেজ, অনিরুদ্ধ জানা, বিমান পুরকায়েত, হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই অমিত ভাওয়াল। এক রেল কর্মী-সহ ২ জনকে এখনও সনাক্ত করা যায়নি। সোনবার সন্ধ্যা ছটা বেজে ১০ মিনিটে প্রথম এই ভবনের ১৩ তলায় আগুন দেখতে পান পাশের এলআইসি বিল্ডিংয়ের ক্যান্টিন কর্মীরা। তাঁরা আগুন দেখে চিৎকার করে উঠেছিলেন। পূর্বরেলের অফিসের ১৩ তলায় এসি ফেটেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আরও পড়ুন-Fire at Eastern Rail Head Quarter: বড়বাজারের পূর্ব রেলের সদর কার্যালয়ে ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন

এদিকে রেলের সার্ভার রুমে আগুন লাগায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অনলাইন টিকিট বুকিং পরিষেবা। পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় অনলাইন রিজার্ভেশন বন্ধ। আপাতত বন্ধ রয়েছে পূর্ব রেল, দক্ষিণ-পূর্ব রেল ও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বুকিং। উল্লেখ্য, গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী এবং দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও ফিরহাদ হাকিম। রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে আগুন লেগে কর্মী মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। গোটা ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এব্যাপের কাজ এগোবে বলেও টুইটে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার রাতেই ঘটনা্স্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “এটা রেলের জায়গা। কিন্তু, তাঁদের কেউ আসেননি। সুজিত আমাকে জানিয়েছে, বিল্ডিং-এর নকশা চাওয়া হয়েছিল। সেটা পেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হতো। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে সহযোগিতা মেলেনি। দুর্ঘটনা নিয়ে আমি কোনও রাজনীতি করতে চাই না।” তবে আগুন লাগার পরেও লিফট কেন চলছিল, তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ এর অর্ত হল অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে থাকা ওই ভবনে বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু ছিল।