কলকাতা, ৩ সেপ্টেম্বর: কয়লা পাচার মামলার (Coal Smuggling Case) তদন্তে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-র নজরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পরিবারের সঙ্গে যুক্ত তিনটি সংস্থা। সূত্রের খবর, এই তিনটি সংস্থায় অভিষেকের বাবা-মা হয় ডিরেক্টর পদে বা মনোনীত অংশীদার হিসাবে রয়েছেন। সংস্থাগুলির নাম-লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড (Leaps & Bounds Private Limited), লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ইনফ্রা কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড (Leaps & Bounds Infra Consultants Private Limited) এবং লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস এলএলপি (Leaps & Bounds Management Services LLP)। এই তিনটি সংস্থায় কয়েকটি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড এবং লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ইনফ্রা কনসালট্যান্টের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় (Amit Banerjee) ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Lata Banerjee)। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস এলএলপি-তে অমিত এবং লতা মনোনীত অংশীদার। এই তিনটি সংস্থার ঠিকানা একই।
ইডি সূত্র জানিয়েছে যে ৪.৩৭ কোটি টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি থেকে। এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানিটি কয়লা পাচার মামলার আরেক অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার (Anup Majhi Alias Lala) মালিকানাধীন। একই ধরনের কাল্পনিক লেনদেন বা তহবিল স্থানান্তরের জন্য ইডি আধিকারিকরা বর্তমানে এই তিনটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টের পাস বই পরীক্ষা করছে। আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে, মৃত্যুদণ্ড নিতে প্রস্তুত'
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের একজন ডিরেক্টর ছিলেন। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে তিনি কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি অমিত বন্দ্যোপাধ্য়ায় কোম্পানির বোর্ড সদস্য হিসাবে যোগদান করেন। অন্যদিকে, ২০১২ সালের এপ্রিল থেকেই অভিষেক মা লতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ইডি সূত্র জানিয়েছে যে শুক্রবার ইডি আধিকারিকরা এই কোম্পানিগুলির বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। যদিও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।