পুরাণ মতে, শিবরাত্রির দিন শিবকে স্বপ্নে পেয়েছিলেন পার্বতী। আবার কোথাও উল্লেখ রয়েছে এদিনেই নাকি পার্বতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহাদেবের। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে কোথাও কোথাও তিন দিন আগে থেকে শুরু হয় মন্দিরের সাজসজ্জা। পার্বতী এবং শিবের মূর্তিকে বর কনে সাজিয়ে ঘরে-ঘরে ঘোরানো হয়, মহাশিবরাত্রির দিন ওদের বিয়েও দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত, কলেই জানেন দেবতা আর অসুররা যখন সমুদ্রমন্থন করেন তখন সমুদ্র থেকে ভয়াবহ বিষ উঠতে থাকে; বিষের উগ্রতায় সমস্ত সৃষ্টি ধ্বংসের মুখে চলে যায়। বিশ্ব-চরাচরকে বাঁচাতে মহাদেব সেই ভয়াবহ গরল কণ্ঠে ধারণ করেন, বিষে তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়, এই কারণেই শিবের আরও একনাম নীলকন্ঠ। ফাল্গ‌ুন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে কালকূট বিষ পান করে মহাদেব সৃষ্টি রক্ষা করেছিলেন বলে এই দিনটিতে মহাশিবরাত্রি পালিত হয়। অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালিত হয়; অগণিত ভক্ত এইদিন শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা, ফুল দিয়ে আরাধনা করে থাকে। মহাশিবরাত্রি বা শিবরাত্রি হচ্ছে হিন্দু শৈব সম্প্রদায়ের নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।